<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলফ্রেড নোবেল তার শেষ উইল স্বাক্ষর করেন ১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর। নোবেল পুরস্কার প্রবর্তনের আগে তার জীবনে ছিল কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আলফ্রেড নোবেলের জন্ম সুইডেনের এক ধনী ব্যবসায়ী পরিবারে। ১৮৫০ সালে নোবেল পড়াশোনার উদ্দেশ্যে প্যারিস যান। সেখানে তার দেখা হয় ইতালির কেমিস্ট আসকানিও সোব্রেরোর সঙ্গে। তাদের দেখা হওয়ার তিন বছর আগেই সোব্রেরো নাইট্রোগ্লিসারিন আবিষ্কার করেন। আবিষ্কার করলেও সোব্রেরো নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, এটা চাপ ও তাপের সংস্পর্শে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। তবে নোবেলের ইচ্ছা হলো, তিনি বাণিজ্যিকভাবে নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারের জন্য এর নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করবেন। নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে পরীক্ষা করার এক পর্যায়ে ১৮৬৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরণে নোবেলের ছোট ভাইসহ পাঁচজন মারা যান। ১৮৬৭ সালে তিনি ডিনামাইট আবিষ্কার করেন। ডিনামাইট নাইট্রোগ্লিসারিনের চেয়ে কম বিপজ্জনক এবং সহজে কাজ করার মতো। খনিজ অনুসন্ধানসহ আন্তর্জাতিক পরিবহন নেটওয়ার্ক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় ডিনামাইট। ১৮৮৮ সালে আলফ্রেড নোবেলের ভাই লুডভিগ নোবেল ফ্রান্সের কানে বেড়াতে গিয়ে মারা যান। এক পত্রিকায় ভুল খবর ছাপা হয়। শিরোনামে লেখা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মরণ সওদাগরের মরণ হয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। নিচে আরো লেখা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. আলফ্রেড নোবেল আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত বেশিসংখ্যক মানুষ মারার উপায় আবিষ্কার করে ধনী হয়েছিলেন। সেই তিনিও গতকাল মারা গেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> খবর দেখে নোবেল মর্মাহত হন। তখনই তার মনে নাড়া দেয়, মরণ সওদাগর নয়, বরং তাকে ভালো কাজর জন্য মানুষ মনে রাখবে এমন কিছু করতে হবে। সুতরাং নোবেল পুরস্কার প্রচলনের জন্য তার সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ উইল করে দেন। তার তখনকার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল আজকের দিনের এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। জনশ্রুতি আছে, এত বিশাল পরিমাণ অর্থ দান করার পরও তার আফসোস ছিল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরো অনেক টাকা থাকলে তিনি এই উইলে যোগ করতেন। উইল স্বাক্ষর করার এক বছর কয়েক দিন পর ১৮৯৬ সালের ১০ ডিসেম্বর মারা যান আলফ্রেড নোবেল।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>
