<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা জীবনযুদ্ধে প্রায় হেরে যেতে চলছিলাম। পড়ালেখার খরচ, খাবারদাবার কে জোগাবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চিন্তায় অস্থির ছিলাম আমরা। তখনই পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে বিনা মূল্যে সেলাইয়ের কাজ শিখিয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে আমাকে একটা সেলাই মেশিন দিয়েছে। এই একটা মেশিন দিয়েই এখন দুই বোন পড়লেখা করতে পারব। আমাদের সংসারও চলবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন সানজিদা আক্তার। তিনি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে কলেজে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকের মতো তার হাতেও সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় এইচএসসি সম্পন্ন করা বড় বোন নাহিদা খাতুনও এসেছিলেন। মেশিন পেয়ে তিনিও অনেক খুশি। চার মাস প্রশিক্ষণ শেষে শায়েস্তাগঞ্জের ২০ অসহায় নারীর হাতে বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের সবাই অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সানজিদা আক্তার সামনে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। তিনি জানান, গত প্রায় ১৭ বছর আগে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বাবা আব্দুল কাইয়ুম মারা যান। এর পর থেকেই সংসারের হাল ধরেন বড় ভাই। নিজেদের জমিজমা বলতে কিছুই নেই। ভাই একটি কম্পনিতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করে যা পান, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলছে। অবশেষে সেলাই মেশিন পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন সানজিদা। আর এই খুশি যে ভাগ হয়েছে বড় বোনের কাছে, তা দেখেই বোঝা গেছে। ওই দিন সেলাই মেশিন বাড়িতে নেওয়ার সময় দুই বোনের একত্রে খুশিতে আত্মহারা হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে অনেকের।</span></span></span></span></p>