<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি তানজিলা আক্তার ইমা। চুনারুঘাট সরকারি কলেজে অনার্সে পড়ছি। বাবা বাড়িতে বেকার বসে আছেন। বেশ কষ্ট করেই পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছি। এ কারণেই খুব ইচ্ছা ছিল আমি সেলাইয়ের কাজ শিখব এবং আমার একটি সেলাই মেশিন থাকবে। পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকেই সেলাইয়ের কাজ জানে এবং তারা সেলাই করে টাকা উপার্জন করে। এটি তাদের সংসারে কিছুটা হলেও কাজে দেয়। আর কিছু হোক কিংবা না হোক, অন্তত নিজেদের খরচ চালানোর সামর্থ্য হয়ে যায় সেলাইয়ের কাজ করে। আমারও তাদের দেখে খুবই ইচ্ছা হতো, আমিও যদি সেলাই করে তাদের মতো স্বাবলম্বী হতে পারতাম। কিন্তু সেলাই শিখতে আর সেলাই মেশিন কেনার খরচ অনেক; যার কারণে আমি এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিছুদিন পর আমার এক ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারি, বসুন্ধরা শুভসংঘ নামে একটি সংগঠন আছে, যারা বিনা মূল্যে সেলাইয়ের কাজ শেখাবে। এটি ছিল তিন মাসের কোর্স। নিউজটি পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। শুভসংঘের ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেলাইয়ের কাজ শিখতে শুরু করি। এখানে আমাদের সেলাইয়ের বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখানো হয়েছে, তা-ও বিনা মূল্যে। আমাদের কাছে সবচেয়ে খুশির খবর ছিল বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে এবং সেটিও বিনা মূল্যে। আমরা কাজ শিখছিলাম। তিন মাস পেরিয়ে গেছে। ভাবছিলাম, মেশিনটি মনে হয় পাব না। অবশেষে সেলাই মেশিন দেওয়ার দিন এলো। ফাইনালি আমি বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন পেতে সক্ষম হলাম। এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য। আমি তাদের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।</span></span></span></span></p>