<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া (২৪)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে চোখে-মুখে ছররা গুলি লাগে মাসুদের। কিছুদিন চিকিৎসা করালেও মাসুদ এখন আর বাঁ চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। এদিকে চাকরি হারিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর চিকিৎসা। মাসুদ ওই গ্রামের দরিদ্র হানিফ মিয়ার ছেলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার মুঠোফোনে কথা হয় মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাকার অভাবে হয়তো আর চোখের চিকিৎসা করানোই সম্ভব হবে না। বাঁ চোখ থেকে একটি গুলি বের করা হলেও এখনো চোখে-মুখে দুটি গুলি রয়ে গেছে। ছয় মাস পর আবার যেতে বলেছেন জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তাররা। কিন্তু কোনো আশ্বাস দেননি তাঁরা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাসুদ জানান, বাড়িতে অসুস্থ মা-বাবা। দুই বোনের একমাত্র ভাই তিনি। এক বোনের বিয়ে হয়েছে। অসুস্থ মা-বাবার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। অসুস্থতার কারণে চাকরি হারিয়ে টাকার অভাবে একদিকে সংসার ও অন্যদিকে চিকিৎসার খরচ জোগাতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন মাসুদ। যেটুকু সাহায্য পেয়েছেন, তা দিয়ে কোনোভাবেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের আর্থিক অনটনে লেখাপড়া বেশি দূর এগোয়নি। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে কাজ নেন ট্রাকচালকের। এতেই সংসারের অভাব ঘুচে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের গুলিতে সব যেন ওলটপালট হয়ে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পাকুন্দিয়া পৌর শহরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ওই দিনই ঢাকা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার করে একটি গুলি বের করা হয়। কিন্তু তাতেও তাঁর কোনো উন্নতি হয়নি। এখন তিনি বাঁ চোখে একটুও দেখতে পাচ্ছেন না। একদিকে চিকিৎসা ব্যয়, সংসারের দেখভাল, অন্যদিকে চাকরি নেই, চোখে না দেখতে পাওয়ায় সব কাজকর্মে স্থবিরতা নেমে এসেছে তাঁর জীবনে। </span></span></span></span></span></p> <p style="margin-left:24px; text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাসুদ মিয়ার বাবা হানিফ মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার মাস হচ্ছে সংসারে কোনো আয়-রোজগার নেই। ছেলে যে ট্রাকে চাকরি করত চোখের সমস্যার কারণে সেই চাকরিতে আর যেতে পারছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>