<p>শাহজাদপুরে অসময়ে পাটালি গুড় বিক্রির হিড়িক পড়েছে। তবে এসব পাটালি খেজুরের গুড়ের নয়, প্রায় পুরাটাই চিনির। এর মান নিয়ে শঙ্কায় আছে ভোক্তারা।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার দ্বারিয়াপুর বাজারে পাটালি পট্টিতে গুড় কিনতে আসা আরিফ মিয়া বলেন, ‘ভাপা পিঠার জন্য পাটালি গুড় কিনতে এসেছি। তাঁকে পাটালি গুড় বিক্রেতারা জানান, শতভাগ খাঁটি খেজুর রসের গুড় পাওয়া যাবে না।’</p> <p>কথা হয় বিক্রেতা মিরু মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, এখনকার পাটালিতে ১০ শতাংশও খেজুরের গুড় নেই। চিনি দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে নাটোরে বানেশ্বর ও বনপাড়ায় পাটালি তৈরি হচ্ছে। সেখান থেকেই পাইকারি দরে বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে তাঁদের পাটালি কিনে আনতে হয়। তিনি আরো জানান, শাহজাদপুরের দ্বারিয়াপুর বাজারে প্রায় ২০টি দোকানে শীতে পাটালি গুড় বিক্রি হয়ে থাকে। এক কেজি পাটালি গুড় এখন ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>জানা গেছে, অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরোদমে পাটালি গুড়ের উৎপাদন শুরু হয়। বেশির ভাগ গুড়ই আসে নাটোর ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন মোকাম থেকে। পাটালি বিক্রেতা মিরু মিয়া জানান, যশোরের খেজুরের ঝোলা গুড় পাওয়া যাবে পৌষের মাঝামাঝি থেকে। হাঁড়ির খেজুরের ঝোলা  গুড়ের মান ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এই সময়টার জন্য মুখিয়ে থাকে পিঠাপ্রেমী মানুষেরা।</p> <p>শাহজাদপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহবুব হোসেন জানেন না কবে থেকে পাটালি গুড় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, খাদ্যের মান নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা এই ইন্সপেক্টরকে বাজারে খুব একটা দেখা যায় না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুব হোসেন জানান, তিন দিন আগেও তিনি বাজারে গিয়ে পাটালি গুড় বিক্রি দেখতে পাননি।</p>