<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি হাঁকালেও জমি স্বল্পতার কারণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ নেই। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে. উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষিজমি রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। তবে এখানে শীতকালে (রবি মৌসুম) পেঁয়াজের উৎপাদন হয়ে থাকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় শীতকালে (রবি মৌসুমে) গোখাদ্য হিসেবে মাষকলাই ও খেসারির চাষ বেশি হয়। জমির স্বল্পতার কারণে পেঁয়াজ চাষ করার সুযোগ থাকে না। কৃষকরা জানান, পেঁয়াজ চাষ অনেকটাই জুয়া খেলার মতো বা ঝুঁকিপুর্ণ। দাম পড়ে গেলে পেঁয়াজ তখন কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান জানান, শাহজাদপুর উপজেলা একটি বন্যাপ্রবণ উপজেলা। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে জমি থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়র পর গোখাদ্যের জন্য কৃষক মাষকলাই আবাদ করেন। আর ভোজ্য তেলের জন্য সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। পেঁয়াজ আবাদের জন্য অবশিষ্ট জমি না থাকায় এই উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী ও মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার রুপবাট ও পোতাজিয়া ইউনিনের প্রায় দুই হাজার হেক্টর কৃষিজমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ মুজিব বাঁধের ভেতর থাকায় এখানকার ২০ হেক্টর জমিতে কৃষক অক্টোবর মাস থেকেই মুড়িকাটা (গোটা) পেঁয়াজ চাষ শুরু করে দিয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ জানুয়ারি মাসে মাঠ থেকে তুলে এই জমিতেই চারা পেঁয়াজ রোপণ করা হবে।</span></span></span></span></p>