<p>‘ধর শালাদের, আজ খাইয়েই ছাড়ব’—এমন ভয়ংকর হুমকি দিয়ে ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী দল অতর্কিত হামলা চালায়। হাতে ছিল ধারালো দা, রড়, শাবল, ছুরি ও লাঠি। হামলায় মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক-কর্মচারীরা একের পর এক গুরুতর আহত হন। কারও পায়ে, কারও হাতে, আবার কারও কোমরে ২-৩ ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়। এমনকি কারও মাথায় আঘাতে ফেটে যায় মাথার চামড়া। চিৎকার আর আতঙ্কে চারপাশে হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।</p> <p>গত ২১ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে মাহবুব গ্রুপের জমি দখলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এই তাণ্ডব চালানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. জিয়াউদ্দিন। বুধবার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।</p> <p>জিয়াউদ্দিন জানান, কাশিমপুরের ভেরেন্ডা এলাকায় মাহবুব গ্রুপের প্রায় ১৪ বিঘা জমি রয়েছে। ওই জমিতে কয়েকটি দোকান ভাড়া দেওয়া ছিল। জমির পূর্ব মালিকের একজন ওয়ারিশ ৯০ শতাংশ জমির দাবি জানালেও স্থানীয় বিচার-শালিসে সে দাবি খারিজ হয়। আদালতে মামলা হলে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় এবং ২১ নভেম্বর সন্ত্রাসী ভাড়া করে জমি দখলের চেষ্টা করে।</p> <p>হামলায় গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম (৬৮), সুপারভাইজর আসাদুজ্জামান জামান (৪৬), শ্রমিক মো. জাকির হোসেন (৩২), মো. রুহুল আমিন (৫৫), পারভীন বেগম (৫০) প্রমুখ। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও হামলার শিকার হতে হয়।</p> <p>মো. জিয়াউদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জমি দখল করতে না পেরে তারা বিভিন্ন কৌশলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।</p> <p>মাহবুব গ্রুপের ২৭টি প্রতিষ্ঠানে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন। পোল্ট্রি ফিড, গার্মেন্টস, মেলামাইন, শিপিংসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিষ্ঠানটির অবদান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান টানা সাত বছর গাজীপুরের সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছেন এবং দেশের চতুর্থ সেরা করদাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।</p> <p>মাহবুব গ্রুপ এ ঘটনার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।</p>