<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লোকসানের কারণে এক দিন চলার পরই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বন্ধ ঘোষণা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিস্তারিত কালের কণ্ঠ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বার্তায়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা : খুলনা</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-ঢাকা কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয়েছিল ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে। প্রতি মঙ্গলবার ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে যাশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ ১৫টি স্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দিনেই বিপুল লোকসানের কারণে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিডিউল থাকলেও পণ্যের অভাবে ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খুলনা থেকে ট্রেনে ঢাকার দূরত্ব ৪১২ কিলোমিটার। এ দূরত্বে ট্রেনের যাতায়াত খরচ হয় ১০ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু প্রথমবারের শিডিউলে মাত্র ৬৪০ কেজি পণ্য গেছে খুলনা থেকে ঢাকা, যা থেকে রেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাবদ আদায় করেছে মাত্র ৪৬০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেলওয়ে সূত্র বলছে, এই ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানের ব্যবস্থা ছিল। এর মাধ্যমে মাছ-মাংসসহ পচনশীল পণ্য পরিবহন করারও সুযোগ ছিল। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি পণ্যের খরচ পড়বে এক টাকা ৪৭ পয়সা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনীহার কারণে ট্রেনে কৃষিপণ্য আশানুরূপ পাওয়া যায়নি বলে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ট্রেনটি বন্ধ হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী : গত</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ২৬ অক্টোবর উদ্বোধন করার পর প্রথম দিন কৃষিপণ্য ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেন। ১৫০ কেজি ডিমের খাঁচি বহন করে আয় হয় মাত্র ৩৬০ টাকা। ব্যয় হয় প্রায় ৯ লাখ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেল বিভাগ জানিয়েছে, গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাজশাহী পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনে সবজি নেওয়ার জন্য থামলেও কোনো সবজি বা কৃষিপণ্য না পাওয়ায় বিশেষ ট্রেন খালি যেতেই বাধ্য হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনাজপুর : পঞ্চগড়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ঢাকামুখী চলাচল করত স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু এক দিন চলার পর গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে ট্রেনটি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস এই তথ্য সব স্টেশনকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনটি চালুর পর কৃষক বা কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী ও কৃষকের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাঁরা ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনে আগ্রহী নন। সে জন্য ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>