<p>জমি লিজ নিয়ে কখনো ধান, কখনো গম, ভুট্টা, আবার কখনো সবজি চাষ করে তেমন লাভের মুখ দেখতে না পারলেও এবার এলাকায় প্রথমবারের মতো ফিলিপিন্সের ব্ল্যাক সুগারকেইন জাতের আখ চাষ করে সফল হয়েছেন সাগর নামের এক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা। এক বিঘা জমি থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকার আখ বিক্রয় করেছেন তিনি। এতে খরচ বাদে লাভ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। তাঁর এমন সফলতা দেখে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের। ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সাগরের বাড়ি নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা এলাকায়।</p> <p>উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ফিলিপিনসের ব্ল্যাক সুগারকেইনের রং কিছুটা কালো ও খয়েরি। দেশীয় আখের মতো হলেও রয়েছে বেশ কিছু ভিন্নতা। এই আখের কাণ্ড নরম, রসের পরিমাণ বেশি, মিষ্টিও বেশি। লম্বায় সাধারণত ১২ থেকে ১৬ ফুট হয়ে থাকে। জৈব সার আর গোড়ায় পানি রাখলে দ্রুতই বেড়ে ওঠে। কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এই জাতের আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।</p> <p>সরেজমিনে সাগরের জমিতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে বর্ষাকালীন রোপা আমন ধানের মধ্যে এক বিঘা জমিতে শোভা পাচ্ছে  ফিলিপিনসের ব্ল্যাক সুগারকেইন জাতের লম্বা আখ।</p> <p>উদ্যোক্তা সাগর বলেন, ‘আমার নিজের কোনো জমি নেই। তিন বছরের জন্য ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে আখের চাষ করেছি। সেই হিসাবে প্রতিবছর ২২ হাজার টাকা লিজ খরচসহ অন্যান্য খরচ হয়। এ পর্যন্ত এক লাখ ৪০ হাজার টাকার আখ বিক্রয় করেছি। এতে খরচ বাদে আমার আয় হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এখনো ১৫ হাজার টাকার আখ বিক্রয়ের আশা করছি।’ তিনি জানান, আখ চাষে প্রথম বছর চারা রোপণ বাবদ খরচ বেশি পড়ে। তাই প্রথম বছর লাভের হিসাবটাও হয় কম। জমিতে একবার চারা রোপণ করলে তিন বছর ফসল পাওয়া যায়।</p> <p> </p>