<p>‘জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাত করেছে। এক পর্যায়ে জবাই করার জন্য গলায় ছুরি ধরেছিল। আমি তখন শুধু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলেছি। এ সময় হঠাত্ মেয়রের সন্ত্রাসী তাজুর ফোনে কল আসে। তখন আমাকে জবাই না করে মেয়রের মামার বাড়িতে নেওয়া হয়।’</p> <p>নির্যাতনের শিকার নূর হোসেন আবাহনী সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। শনিবার (২ নভেম্বর) জামালপুর প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ভুক্তভোগী নূর হোসেন আবাহনী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি শহরের পাথালিয়া গুয়াবাড়িয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৪৭তম বিসিএসে কোটায় পরিবর্তন আসতে পারে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/02/1730540096-66ad25617fefa1c96ee01e8976c548c3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৪৭তম বিসিএসে কোটায় পরিবর্তন আসতে পারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/02/1441866" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ভুক্তভোগী বলেন, ‘২০২৩ সালের ২৯ মার্চ। জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে ও মেয়র ছানুকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে আমি ফেসবুকে লাইভ দিই। লাইভটি দেখে মেয়র লোক দিয়ে আমাকে পৌরসভায় ডেকে নিয়ে যান। পরে মেয়র পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে গাড়িতে তোলেন। প্রথমেই মেয়র আমার নাকে একটি ঘুষি মারেন। পরে মেয়রের বাড়ির পাশে একটি ঘরে (টর্চারসেল) নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে সেখান থেকে মেয়রের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন আনু ও কয়েকজন আমাকে ইটের ভাটায় নিয়ে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে দেন। পরে আমাকে পুলিশের মাধ্যমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়। উল্টো আমার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।’</p> <p>নূর হোসেন আবাহনীর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে তাঁর মা নূরজাহান বেগম কান্না করতে থাকেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের নির্যাতনের বিচার চাই।’</p>