<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুন্সীগঞ্জ জেলায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি টিকাদান কর্মসূচি, যার কারণে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) টিকা গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো নবজাতক। শিশু ও নারীদের মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে সরকারিভাবে আগে সাত ধরনের টিকা প্রদান করা হতো, কিন্তু বর্তমানে তা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতাল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইপিআই টিকাদানকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ফিরে আসছেন শিশুদের অভিভাবকরা। স্বজনদের আশঙ্কা, সময়মতো টিকা গ্রহণ না করলে শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীরা জানান, এক মাস ধরে পোলিও, রুবেলা, ডিপথেরিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, ধনুষ্টঙ্কার ও জন্ডিসের টিকার সরবরাহ বন্ধ আছে। এককথায় ইপিআই কর্মসূচির কোনো টিকার সরবরাহ নেই, যার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু টিকাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে বিসিজি, এমআর, টিডি টিকার সরবরাহ আছে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পেন্ডা, পিসিবি, আইপিবি, ওপিবিসহ চারটি টিকা পাচ্ছে না ভুক্তভোগী নারী ও শিশুরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসকরা জানান, সময়মতো টিকা না নিলে শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। যেসব রোগের জন্য এসব টিকা দেওয়া হয়, সেসব রোগ আবার বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শিশুদের শরীরে আঘাত হানতে পারে। তাই দ্রুত টিকা সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিও জানান চিকিৎসকরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগী রোগী সেলিনা বেগম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক মাস ধরে ঘুরছি, হাসপাতালে গেলেই বলে টিকা নেই। একাধিকবার শিশুদের নিয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে। কবে নাগাদ টিকা পাব তা-ও বলছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মুন্সীগঞ্জ জেলা সুপারিনটেনডেন্ট আরিফুর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ চারটি টিকা সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা নিয়মিত মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে যেসব টিকার সংকট রয়েছে তা পূরণ করবে। আমরা নারী ও শিশুদের সাত ধরনের টিকা দিয়ে থাকি। আপাতত তিনটি টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>