<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার ৭৩ দিন পার হয়ে গেলেও মাঠ পর্যায়ে আগের মতো সক্রিয় হতে পারেনি মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও থানার পুলিশ। এ সুযোগে মাদক কারবারি ও অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।</p> <p>উপজেলার অনেক সচেতন নাগরিক মাদকের ভয়াল থাবা থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর ছবিসহ পোস্ট দিয়ে।</p> <p>জানা গেছে, মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশের তালিকায় আছেন উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কাটালিয়াকান্দ গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে আবু হানিফ (৪০)। ১৭টি মাদক মামলার আসামি তিনি।  একসময় সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা ছিল হানিফের। হঠাৎ যেন হাতে পেলেন আলাদিনের চেরাগ। এরপর মাত্র কয়েক বছরেই শূন্য থেকে কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। নিজ ভিটায় ‘মায়ের দোয়া’ নামে করছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।</p> <p>জুলাই মাসের আগে মাঝেমধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করত। এসব অভিযানে ছোট কারবারিদের আটক করা হলেও মাদকের বড় রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। চলমান পরিস্থিতিতে মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সক্রিয় না থাকায় জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই তিন মাস দেদার মাদক কেনাবেচা করে যাচ্ছে কারবারিরা।</p> <p>এক যুগ ধরে এই উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলন চলছে। আগের তুলনায় এখন কিছুটা কমে এলেও বিভিন্ন স্থানে চলছে ড্রেজার। এই অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীর করে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের তিন ফসলের জমিগুলো পরিণত হচ্ছে কূপে। এর ফলে এই অঞ্চলের খাদ্য উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।</p> <p>মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নিয়ে মাদক ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় সচেষ্ট আছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে।’</p>