<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেউ আঁছে পানিতে ডুবে থাকা বাড়িঘর। কারো ছবিতে পানিতে অর্ধনিমজ্জিত গ্রামের দৃশ্য। কারো রংতুলিতে ফুটেছে আকাশের দিকে হাত তুলে মানুষের ছবি। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টার দৃশ্য কারো কারো ছবিতে। তাইফা আর ঈশিকা ঘোষের মতো কচি-কাঁচারাও মোম ও রং দিয়ে কাগজের ওপরে ফুটিয়ে তুলছে বন্যার নানা দৃশ্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছবি আঁকা শেষ হলে তারাই আবার রাস্তায় নেমে আসা মানুষদের কাছে তা বিক্রি করছে। কেউ এক হাজার, কেউ দুই হাজার টাকা দিয়ে সেই ছবি কিনছেন। নিজেদের ছবি বিক্রি করতে পেরে ছোট ছেলে-মেয়েরা খুশি। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খুদে শিল্পীদের আঁকা ছবি নিজেরাই বিক্রি করছে। বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই তাদের এই প্রয়াস।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কচি-কাঁচাদের পাশাপাশি স্থানীয় নামি শিল্পীরাও এদিন ছবি এঁকেছেন। ঝালকাঠি কালেক্টরেট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্কুল ও চারুকলা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী তাপস কর্মকার। গত শুক্রবার তিনিও চলে এসেছিলেন বরিশাল চারুকলা বিদ্যালয়ে। তাপস কর্মকারের মতো নামি শিল্পীরাও এসেছিলেন ছবি আঁকতে। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এমন উদ্যোগে শামিল হতে পেরে খুশি। কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে মানুষের পাশে থাকা উচিত। এর জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চারুকলায় এক দিন : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চারুকলা বিদ্যালয়ের ভেতরে পা বাড়ালাম। অনেক শিক্ষার্থী ও শিল্পী তাঁদের বিভিন্ন সময়ে আঁকা ছবি বিক্রির জন্য তুলে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে। কেউ কেউ নতুন করেও ছবি আঁকছেন। এক হাজার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকার চিত্রকর্মও আছে সেখানে। এসব ছবি বিক্রির ৩২ হাজার টাকাও চলে যাচ্ছে বন্যায় আক্রান্তদের সহায়তায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা এই চিত্রকর্মে অংশ নিয়েছে তারা সবাই কচি-কাঁচা। তারা রংতুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে বন্যার বিধ্বস্ত দৃশ্য। সেখানে স্থান পেয়েছে বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া এক জনপদ। সেখানকার মানুষের কলার ভেলা নিয়ে চলছে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। কেউ কেউ এঁকেছে হেলিকপ্টারে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার হাতিয়ার হিসেবে এই শিশুশিল্পীদের হাতে রংতুলি উঠে এসেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিল্পীরা যা বলছেন : </span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চারুকলা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বরিশাল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে ছবি আঁকা প্রতিষ্ঠানের এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন নন্দিনী দাস প্রাচী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি। নন্দিনী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে শিল্পী হিসেবে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা শিল্পীরা আমাদের যা আছে, সেটুকু করছি; মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিল্পীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়োজকরা যা বলছেন : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মসূচির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নেতৃত্বে থাকা শিল্পী তাপস কর্মকার বলেন, কর্মসূচিতে চারুকলা বরিশালের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। চারুকলার ৫০ শিল্পী ছবি এঁকেছেন। এসব ছবি শহর ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হচ্ছে। ছবি বিক্রির ক্যাম্পিং আরো কয়েক দিন চলবে। সংগ্রহ করা অর্থ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা করা হবে। চারুকলার সংগঠক সুশান্ত ঘোষ বলেন, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য চারুকলার শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চারুকলা বরিশালের সভাপতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দীপংকর চক্রবর্তী জানান, বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সবাই কিছু করতে চান; এমন আগ্রহ থেকে চারুশিল্পীরা তাদের তৃপ্তি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।</span></span></span></span></p> <p> </p>