<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির ৩৭ ধরনের অভিযোগ করেছেন হাসাপাতালের ১১ জন চিকিৎসকসহ দেড়শ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত বুধবার জেলার সিভিল সার্জনের কাছে তাঁরা লিখিত অভিযোগ পাঠিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানান। একই অভিযোগের কপি বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) দেওয়া হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিকার দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী গত মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জবাবদিহিতা আদায়ের লক্ষ্যে তাঁর অফিসকক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে আগের রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসনীম পালিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, শতাধিক কমকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ দায়ের ও স্বাড়্গর সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা কর্মবিরতি পালন শুরু করলেও পরে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করেন। অভিযোগে জানা যায়, হাসপাতাল সমাজসেবার আওতায় রোগীদের ওষুধ কেনার টাকা, প্যাথলজির প্রতিমাসের বরাদ্দ (চার লাখ), অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানির দুই লাখ টাকা, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজির টাকা থেকে শুরু করে সব সেবাখাতের টাকা আত্মসাত করে আসছেন ডা. সিনথিয়া তাসনীম। বহির্বিভাগের রোগীর টিকিট ফি ৩ টাকার জায়গায় ৫ টাকা করে নিয়ে এখান থেকে প্রতিমাসে বাড়তি ৩০ হাজার টাকা করে তিনি ৩ বছরে প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এছাড়া প্রতিমাসে তিনশর বেশি আলট্রাসনোগ্রাম এবং আড়াইশর বেশি ইসিজি করিয়ে মাসিক প্রতিবেদনে ৬০-৬৫টি দেখিয়ে এতদিন বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ডা. মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসনীম তাঁর বিরম্নদ্ধে তোলা বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়মমাফিক ডিউটির জন্য তিনি কড়াকড়ি করতেন। বিধি অনুযায়ী সরকিছু করতেন। এসব কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসত্য সব অভিযোগ এনেছেন। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্ধকারে কর্মস্থল ত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, তাঁর বাসায় হামলা হওয়ার খবর পেয়েছিলেন। ভয় পেয়েই রাতে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। তবে তিনি পালিয়ে যাননি বলেও দাবি করেন।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p>