<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার মধুমণ্ডল পাবলিক লাইব্রেরি ঘিরে ছিল একসময় বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, কবি-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকদের ভিড়। বই, পত্র-পত্রিকার সমারোহে দিনের একটি বড় সময় পার করতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সবই স্মৃতি। প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে গ্রন্থাগারটি। এটি সংস্কার করে আবার চালু করার দাবি শিক্ষানুরাগীদের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দামুড়হুদার মধুমণ্ডল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৬ সালে। ওই বছরই তৎকালীন সদর ইউপি চেয়ারম্যান সামমুল আলম সদরের পুরনো বাজারের কাছাকাছি একটি পুরনো ভবনসহ তিন শতক জমি লাইব্রেরির নামে লিখে দেন। লাইব্রেরির নাম দেওয়া হয় জমিদাতার মৃত বাবা মধু মণ্ডলের নাম অনুসারে। এরপর  লাইব্রেরির জন্য নতুন দ্বিতল ভবন হয়। ১৯৯২ সালে আর্থিক সহায়তার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে সরকারি অনুদান পায় প্রতিষ্ঠানটি। আলমারিতে সাজানো হয় তিন হাজারেরও বেশি বিভিন্ন লেখকের বই। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ২০০৩ সালে পাঠাগারটির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি সরেজমিনে লাইব্রেরি চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, গ্রন্থাগারটির এখন দেয়ালে লেখা সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই। পাবলিক লাইব্রেরির একটি অন্ধকার কক্ষে ধুলাবালি মাকড়সার জালে ভরা। আলমারিতে আটকে আছে বহু নামি-দামি লেখকের বেশ কিছু বই। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে জানালা, দরজা, আসবাব ও বই-পুস্তক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে মধুমণ্ডল পাবলিক লাইব্রেরির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম শফিক বলেন, মূলত উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লাইব্রেরিটির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ঝিমিয়ে পড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে এটি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটির সঙ্গে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। এটাকে এভাবে বন্ধ না রেখে নতুনভাবে সচল করে আধুনিক পাঠাগার হিসেবে সাজিয়ে শিক্ষানুরাগীদের লাইব্রেরিমুখী করার সরকারি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা কালের কণ্ঠকে বলেন, মহল্লায় পাঠাগার থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই পাঠাগারটি চালু করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বন্ধ হওয়া লাইব্রেরি পরিদর্শন করে দ্রুত এটি চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>