<p>আজ ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এটি রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে নাম পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়।</p> <p>বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের যাত্রা শুরু হয় রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে, যা পরে সংসদে পাস হয়ে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ২০০৯ আইন’ নামে কার্যকর হয়। আইনটি কার্যকর হয় ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর থেকে।</p> <p>৫ এপ্রিল ২০০৯ সালে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস। মাত্র ১২ জন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এই স্বপ্নযাত্রা।</p> <p>বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বর্তমানে একাধিক সংকটের মুখোমুখি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি সংকট হলো অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা কম, যা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে।</p> <p>অবকাঠামোগত সংকটগুলোও দীর্ঘস্থায়ী। দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠার এক যুগ পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো অডিটরিয়াম বা জিমনেসিয়াম।</p> <p>আবাসনসংকট আরো একটি বড় সমস্যা। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক হল সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব খেলার মাঠও নেই, যা শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা ও বিনোদনের সুযোগকে সীমিত করছে।</p> <p>অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন উপাচার্যের কাছে আশা করছেন যে এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রশাসন যথাযথ উদ্যোগ নেবে এবং ভবিষ্যতে বেরোবি একটি সমৃদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।</p>