<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আজ ১২ অক্টোবর ১৭ বছরে পদার্পণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ঘিরে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হবে। উদ্বোধন করা হবে প্রধান ফটক। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার হলেও এখনো নানা সংকট রয়ে গেছে। আবাসন, সেশনজটের সমস্যা এখনো কাটেনি। উন্নত হয়নি শিক্ষার মান। চালু হয়নি রোকেয়া স্টাডিজ। উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ১৫ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্রান্ডিং করার পরিকল্পনা। প্রতিষ্ঠার শুরুতে যা কাজ হয়েছে, নতুন করে আর কোনো কাজই হয়নি। ফলে অবকাঠামোগত দিক থেকে নাজুক অবস্থায় আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য ছিলেন আওয়ামী লীগের ড. আব্দুল জলিল মিয়া। সীমাহীন দুর্নীতির দায়ে মেয়াদ পূর্তির আগেই সরকার তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছিল। তৃতীয় উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবীও পূর্ণ সম্মান নিয়ে শেষটা করতে পারেননি। চতুর্থ উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর আমলটাও অনিয়মের আমল বলেই জানে বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরা। পঞ্চম উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ। আবু সাঈদ হত্যাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তিনিও পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবাসনসংকট : প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র তিনটি হল, যার মধ্যে ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের একটি। আরেকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নির্মীয়মাণ রয়েছে। পর্যাপ্ত হল না থাকায় আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানদণ্ডে পিছিয়ে : বৈশ্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১ঃ২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত একজন শিক্ষক থাকবেন। সেটি এখনো হয়নি। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা : সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের দুটি ভবন শেখ হাসিনা ছাত্রী হল এবং ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এখনো নির্মীয়মাণ। কাজ না করে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন, ডিজাউন পরিবর্তন করে অর্থ লোপাটের বড় অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি এই  কাজের উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এসব প্রকল্পে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চালু হয়নি রোকেয়া স্টাডিজ : রংপুর থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হলেও কদর নেই রোকেয়ার। রোকেয়াকে জানতে ও তাঁর দর্শনচর্চায় একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন পেলেও ১৫ বছরেও চালু হয়নি রোকেয়া স্টাডিজ। নেই কোনো ম্যুরাল। রংপুরের পায়রাবন্দে রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার দাবি থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি। সার্বিক বিষয়ে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, নানা সংকটের মধ্য দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ বছরে পদাপর্ণ করছে। সেশনজটমুক্ত করা, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক চর্চাকেন্দ্র ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি সম্প্রসারণ করা হবে। সব সমস্যা দূরীকরণের মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবে বলে আশাবাদী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>