<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিরল যমজ শিশু নূহা-নাবা এখন অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতাল থেকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেবিনভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় তাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ধরনের সহযোগিতাও করছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রশাসন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার কেবিন ব্লকে কথা হয় শিশু দুটির মা-বাবা নাসরিন আক্তার ও আলমগীর হোসেন দম্পতির সঙ্গে। তারা জানান, এক সপ্তাহ আগে নূহা-নাবাকে ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তারা বাড়ি যেতে পারছে না। কারণ দুই বছরে কেবিন ভাড়া এসেছে প্রায় ২২ লাখ টাকা, যা পরিশোধ করার সামর্থ্য তাদের নেই।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই দম্পতি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নূহা-নাবার চিকিৎসা খরচ দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি নূহা-নাবার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তারা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে বিএসএমএমইউর দায়িত্বশীলদের বক্তব্য, এত টাকা মওকুফ করার মতো কর্তৃপক্ষ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য অনেক আগেই অতিক্রম করে গেছে। এখন করণীয় হলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাহায্য চাওয়া। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী ও বিএসএমএমইউর সাবেক উপচার্য সায়েদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি তো এখন সেখানে নেই। কিন্তু এটা কাউকে না কাউকে তো পরিশোধ করতে হবে। আমি যখন ছিলাম, জানার চেষ্টা করেছি। যখন জানলাম এত টাকা জমে গেছে, তখন হতাশ হওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না। কারণ এত টাকা খরচ করার মতো কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। খরচের সব সীমা অতিক্রম করেছে অনেক আগেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাসরিন আক্তার ও আলমগীর হোসেন দম্পতির বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শিবরাম কাঁঠালবাড়ী গ্রামে। গত বছরের ২১ মার্চ তাদের যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। জন্মের সময় দুজনের শরীরের পেছনের দিকে নিচের অংশ জোড়া লাগানো ছিল। এরপর ৪ এপ্রিল তাদের বিএসএমএমইউতে ভর্তি করানো হয়। তখন থেকে ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা হাসপাতালে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ছিল। ৪ ডিসেম্বর তাদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সে সময় সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, শিশু দুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয় নূহা-নাবাকে। সেদিনও সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে এ ধরনের অস্ত্রোপচার প্রথম। তাই শিশু দুটিকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একাডেমিক কেস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে গিয়ে নূহা ও নাবার দেখা মেলে। দুই বোন মেঝেতে খেলছে। কেউ দরজায় নক করলে দৌড়ে যাচ্ছে। নাবার শরীর ও স্বাস্থ্য নূহার তুলনায় ভালো। পাশে ছিলেন তাদের মা নাসরিন আক্তার। বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শিশু দুটির বাবা আলমগীরের কাছে অভিযোগগুলো শুনতে চান। অভিযোগ শোনার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক গৌর কুমার মিত্রের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে বলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে গৌর কুমার মিত্রের কাছে গেলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন (উপাচার্য) ছাড়া এই বিল মওকুফ করার কারো সুযোগ নেই। মওকুফ হলেও সেটি কয়েক ধাপে হবে। এক ধাপে এত টাকা মওকুফ হয় না।</span></span></span></span></p> <p> </p>