<p>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফুটবল খেলায় 'স্লেজিংকে' কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান এবং কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলামকে পৃথকভাবে সভাপতি করে দুইটি ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।</p> <p>সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখে সুপারিশ প্রদানের জন্য উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমানকে সদস্যসচিব করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান, শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আবু রেজা, মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. মাফরূহা সিদ্দিকা লিপি এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। </p> <p>তদন্ত কমিটির সভাপতি ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সাত সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বসে আমরা কাজ শুরু করব। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>অপরদিকে সংঘর্ষের ভিডিও ধারণের সময় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন বণিক বার্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবু সালেহ শোয়েব। ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানালে এবং বিচার দাবি করলে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলামকে সভাপতি এবং ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলামকে কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুন্সী ইসরাইল হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ্‌ হোসাইন আহমদ মেহ্‌দী। </p> <p>কমিটির সভাপতি ও কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, এখনও এ বিষয়ে কোনো চিঠি আমি পাইনি। তবে এরকম কোনো দায়িত্ব পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামের সামনে আইন বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও চেয়ার দিয়ে সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হন এবং প্যারিস রোড প্রদক্ষিণ করে দুই পক্ষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের সংলগ্ন রাস্তায় মুখোমুখি অবস্থান নেয়। রাত ৮টার দিকে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগে ভাঙচুর চালায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।</p>