<p>যেসব হিমাগারে আলুর মজুদ রয়েছে সেগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)-এর স্বেচ্ছাসেবীরা। আগামী তিন দিনের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে মজুদকৃত আলু বাজারে ছেড়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনলে রবিবার অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।</p> <p>মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে কাওরানবাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। স্মারকলিপির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর মজুদ রয়েছে, এমন কোল্ড স্টোরেজের বিভাগ ও জেলাভিত্তিক তালিকা, অধিক মুনাফাখোর মজুদদারদের তালিকা ও কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত আলুর তথ্য সরবরাহ করা হয়। এ সময় মহাপরিচালককে মৌখিকভাবে তিন দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।</p> <p>স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত এক মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রিক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছে। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। </p> <p>কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, কতিপয় মজুদদার, বেপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিক যোগসাজশে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।</p> <p>এমতাবস্থায় কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া/মধ্যস্বত্তভোগী বেপারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট/অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়।</p> <p>এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানোর দাবিতে মুন্সীগঞ্জ, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। জেলাগুলোতে স্মারকলিপি দেওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়।</p>