<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মো. আবদুল্লাহ মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত ঢাকার সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক কাজী সাইফুল ইসলাম ও পারিবারিক সূত্র এ তথ্য দেন। কাজী সাইফুল বলেন, আবদুল্লাহ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আব্দুল্লাহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনালপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বার ও মাবিয়া বেগমের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বাদ মাগরিব ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আব্দুল্লাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, আব্দুল্লাহকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে শুক্রবার (আজ) দাফন হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গতকাল বিকেলে আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়িতে যান নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবর পান। আব্দুল্লাহর মামা ইসরাইল সর্দার ও বড় দুই ভাই উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে কপালে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। দু-তিন ঘণ্টা পর তাঁকে মিটফোর্ড ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অপারেশন হয়। দুই দিন পর তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। তবে সেখানে তাঁর প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে তাঁকে আবার ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান, যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাঁকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবদুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মাসের ১০ তারিখে সিএমএইচে ছেলের অপারেশন সাকসেসফুল ছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>