<p>গাইবান্ধা বিআরডিবির আনিছুর রহমান নামের এক সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান করে এর সত্যতা মেলায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে রংপুর সমন্বিত দুদক।</p> <p>গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।</p> <p>জানা গেছে, গাইবান্ধার বিআরডিবির সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত ওই কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। এ সময় বাস্তবায়িত গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পে সাবেক উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সাবেক উপপরিচালক মো. এনামুল হক, সাবেক উপপরিচালক মোছা. শামীমা আক্তার বানু, বর্তমান উপপরিচালক মো. আবদুস সবুরসহ মোট পাঁচজন উপপরিচালক কর্মরত থাকাকালে জালিয়াতি করে মো. আনিছুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে টাকা ভাঙিয়ে এক কোটি ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।</p> <p>সূত্র জানায়, ‘ডিডি, বিআরডিবি, গাইবান্ধা’ শিরোনামে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, গাইবান্ধা শাখায় খোলা এসটিডি হিসাব নম্বর ২৪০০০০২৬৮ থেকে তৎকালীন উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সময় সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান রাজস্ব অনুদানের এক কোটি ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। ‘উপপরিচালক, বিআরডিবি, গাইবান্ধা’ শিরোনামে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, গাইবান্ধা শাখায় বিদ্যমান এসটিডি হিসাব নম্বর ২৪০০০০২৪০ থেকে তৎকালীন উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সময় ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। ‘উপপরিচালক, বিআরডিবি, গাইবান্ধা’ শিরোনামে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, গাইবান্ধা শাখায় বর্তমান চলতি হিসাব নম্বর ২০০০০১৫৩৫৪০০ থেকে তৎকালীন উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সময় পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি খাতের দুই লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।</p> <p>দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা গত ২০ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দিয়েছি। এখন সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করবেন আদালত।’</p> <p> </p> <p> </p>