<p>ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন তহুরা খাতুন। জোড়া গোল সাবিনার। একটি করে গোল করেছেন শিউলি আজিম ও ঋতুপর্না চাকমা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়া ভারত কিংবা নেপাল। </p> <p>বিরতি থেকে ফিরে কিছুটা রয়ে সয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। কিছুটা ব্যবধান কমাতে গোলের খুঁজে থাকে ভুটানিরা। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। বরং ৫৮ মিনিটে আরো পিছিয়ে পড়ে ভুটান। আবারও পাদপ্রদীপের আলোয় তহুরা। বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় দেখে শুনে বাম পায়ের শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তহুরার প্রথম হ্যাটট্রিক। চলতি আসরে ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডে গোল হলো পাঁটি। এরপর এক সঙ্গে তিনটি পরিবর্তন এনে বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দেরও পরখ করে নেন বাটলার। ৭২ মিনিটে সানজিদার কর্নারে শিউলি আজিম হেডে করেন সপ্তম গোল। তাতে বড় জয়ের সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় ফাইনালও।</p> <p>এর আগে খেলার সপ্তম মিনিটেই গোছালো আক্রমণে গোলের শুরু বাংলাদেশের। তহুরার পাস ধরে বক্সের ঠিক উপর থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা। ‘গোল কপালে নেই’ বলে দুদিন আগে আক্ষেপ করা এই ফরোয়ার্ড করলেন আসরের প্রথম গোল। ১৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান তহুরা। শিউলি আজিমের পাস দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শরীর ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের নিখুত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। আসরে তহুরার গোল হলো ৩টি। ২৩ মিনিটে ডেমা নামগাইয়েলের শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে দেননি গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। একটু পর ব্যবধান আরও বাড়তে পারত বাংলাদেশের, কিন্তু ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে সাবিনার শট দূরের পোস্ট লেগে ফিরে আসে।</p> <p>সাবিনা অবশেষে আসরের প্রথম গোল পান ২৬ মিনিটে। মনিকার আড়াআড়ি ক্রস গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়ান সাবিনা। আক্রমণের ধার অব্যাহত রেখে ৩৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে ব্যবধান আরো বাড়ান তহুরা। দুই মিনিট পর সাবিনা পেয়ে যান আরেকটি গোল। বিরতিতে যাওয়ার আগে অবশ্য একটি গোল পায় ভুটান। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান ডেকি লাহাজোন। আসরের সর্বোচ আটটি গোল হল ভুটানের এই ফরোয়ার্ডের।</p> <p>৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত কিংবা নেপালের মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।</p>