<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। আর এখন যেন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ-ভারতের ভঙ্গুর সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পুরনো দুই বন্ধুর মধ্যে টানাপড়েনের সুযোগে চীন বা পাকিস্তান যেন কোনো সুযোগ নিতে না পারে এ জন্য তৎপরতা শুরু করেছে দেশটি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730012584-e45380e6ef25a6e4da2fbbd31c273167.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/27/1439675" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">হাসিনাকে এখনো সমর্থন করে চলেছে ভারত। হাসিনার আমলে ঘটে যাওয়া সব অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভারত শেষ পর্যন্ত তার পক্ষেই থেকেছে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে গোটা বাংলাদেশকে হারানোর ঝুঁকি নিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি ভারতের নেতৃত্ব। </p> <p style="text-align:justify">বিগত সরকার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত উভয় সরকারের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। সরকারি চিঠিপত্রে শক্ত ভাষার ব্যবহার বাড়ছে। এ সবই দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ততার চরমে পৌঁছার ইঙ্গিত। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যও ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। বর্তমানে নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা কার্যক্রমও শিথিল রাখা হয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১৬ বছরে ৮০০ বার আদালতে হাজিরা দিয়েছি: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730012915-050851c2b5d459e05cfa8e4fe713a9ee.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১৬ বছরে ৮০০ বার আদালতে হাজিরা দিয়েছি : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/27/1439676" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এমন অবস্থায় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনে কোনো রাখঢাক নেই। ৩৬ জুলাইয়ের পটপরিবর্তনে ওয়াশিংটনের ভূমিকা থাকতে পারে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। যদিও এটা আরো বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ওয়াশিংটন তার অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে। বলেছে, বাইরের শক্তি নয়, দেশের মানুষই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে সরকার পরিবর্তন করেছে। </p> <p style="text-align:justify">দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। নতুন বাংলাদেশে কী ঘটছে তাতে ভারতের উদ্বেগেরও শেষ নেই। প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে তারা। স্ট্র্যাটেজিক বন্ধু ভারতকে হারাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকেও পাশে চায় তারা। বাইডেন প্রশাসন পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই সম্পর্ক মেরামতে দৃশ্যপটে দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল আলোচিত মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সবজির চারা বিক্রিতেই ২০ কোটি টাকার ব্যবসা!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730010659-cf0f6a72379067c1b17a994ec041ef3d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সবজির চারা বিক্রিতেই ২০ কোটি টাকার ব্যবসা!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/27/1439667" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সূত্র বলছে, ডোনাল্ড লুর বার্তা বিনিময়ের কারণেই জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে বসে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের যেন আর অবনতি না ঘটে বরং এটি দিনে দিনে স্বাভাবিক এবং উন্নত হয়, সেই চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে ‘শেখ হাসিনা’ এখন বড় ইস্যু। </p> <p style="text-align:justify">এখন পর্যন্ত ঢাকা-দিল্লি যেসব বৈঠক হয়েছে তার কোথাও শেখ হাসিনার স্ট্যাটাস বা অবস্থান নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দুই পক্ষই বিষয়টি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইস্যু যা-ই থাক, সম্পর্কের স্বার্থে যেন তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়।</p>