<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা বিভাগের চার জেলার এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পানি সরবরাহ করছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। প্রকল্পের ৪৯টি শাখা খালের মাধ্যমে সেচের পানি দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে ২০টি শাখা খালের ডাইক (পরিখা, খাত) সম্পূর্ণ নষ্ট এবং ২৯টির ডাইক আংশিক নষ্ট। এ ছাড়া ৪৪৪টি উপশাখা খালের মধ্যে ২০৮টিই পলি দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে কৃষক পাচ্ছেন না সেচের পানি, বিঘ্ন হচ্ছে চাষাবাদ। তাই সমস্যা সমাধানে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন হাতে নিয়েছে সরকার। ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পটি ওই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খাল ভরাট হওয়া, পাম্প নষ্ট হওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটি আগের মতো কার্যকর নেই। নতুন করে খাল খননসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে আবার প্রকল্পটি সবার কাজে লাগবে। সে কারণে পিইসি সভার পর বেশ কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে এলে অনুমোদনের পরবর্তী ধাপের প্রক্রিয়া শুরু হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের চার জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহের ১৩টি উপজেলাকে সেচের আওতায় আনতে ১৯৫৪ সালে হাতে নেওয়া হয় জিকে সেচ প্রকল্প। এর অধীন উপজেলাগুলো হলো কুষ্টিয়ার সদর, কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর; চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা; ঝিনাইদহের সদর, হরিণাকুণ্ড ও শৈলকুপা; এবং মাগুরার সদর ও শ্রীপুর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৫৫-৫৬ সালে জিকে প্রকল্প শুরু হয়ে প্রথম পর্যায় শেষ হয় ১৯৬৯-৭০ সালে। প্রকল্পের আওতায় আসে প্রধান তিনটি খাল, ৪৯টি শাখা খাল ও ৪৪৪টি উপশাখা খাল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পটিতে নানা সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাপাউবো সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪৯টি সেকেন্ডারি (শাখা) খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪৪৪টি টারশিয়ারি (উপশাখা) খাল রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চার মিটার নিচে চলে গেলে প্রকল্পের প্রধান পাম্প কাজ করে না। তখন সাবসিডিয়ারি পাম্প ব্যবহার<br /> করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের প্রধান তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটিই অচল হয়ে গেছে। অন্য একটি পাম্পও কোনো মতে সচল রাখা হয়েছে মেরামত করে। অন্যদিকে ২০০৪-০৫ সালে নষ্ট হয়ে গেছে সাবসিডিয়ারি পাম্পগুলো। সেগুলো আর মেরামতযোগ্যও নেই। সব মিলিয়ে প্রকল্পের বর্তমান সেচযোগ্য এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৬১৬ হেক্টরে। আবার প্রকল্পটির সক্ষমতা কমে যাওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৭৭০ হেক্টর ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৮২৯ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>