<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জ ও পীরপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর পৌনে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। ব্রিজ নির্মাণ শেষ হওয়ার পরও মানুষ এখনো বাঁশের সাঁকো দিয়োই নদী পারাপার হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় চার বছর, কিন্তু সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৫.৫ মিটার প্রশস্ত ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ২০২২ সালের ১৮ আগস্টের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে ব্রিজটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার কথা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের দুই প্রান্তে নেই সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণও করা হয়নি। এ অবস্থায় ব্রিজটি পড়ে আছে দুই বছর দুই মাস। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষের পরও এ পথে যাতায়াতকারীদের এখনো আগের মতো বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিজ এলাকায় বসবাসকারী হাটকালুগঞ্জ গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, হাটকালুগঞ্জ গ্রামবাসীর প্রায় সবারই আবাদযোগ্য জমি নদীর অন্য পারে পীরপুর গ্রামে। চাষাবাদ করতে এবং ফসল আনতে হলে নদী পেরিয়ে যেতে হয়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল ছাড়া ভ্যান কিংবা অন্য কোনো যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায় না। ব্রিজ তৈরি হওয়ার পরও দুর্ভোগ দূর হলো না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনও মিলেছে। প্রয়োজনীয় অর্থও এলজিডিইডির কাছে আছে। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে এবং সেতুটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p>