<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে ডিমের চেয়ে কম দামে টি-শার্ট রপ্তানি হচ্ছে। নানা কারসাজির পরও গরিবের আমিষ হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতিটি প্রায় ১৪ টাকা। আর প্রতিটি টি-শার্ট রপ্তানি হচ্ছে ১১ সেন্ট বা দেশীয় মুদ্রায় মাত্র ১২ টাকায়। এ তথ্যে অনেকেই হয়তো বলবেন, যে দেশে ফুটপাতেও ২০০ টাকার নিচে কোনো টি-শার্ট পাওয়া যায় না, সে দেশ থেকে এত কমদামে এই পণ্য কিভাবে রপ্তানি হতে পারে?  বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানা গেছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এর সঙ্গে অর্থপাচারের নিবিড় সম্পর্ক আছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএফআইইউয়ের আরো পর্যবেক্ষণ দেশ থেকে টি-শার্টের পাশাপাশি প্যান্ট রপ্তানি হয়েছে প্রতিটি ৬৬ সেন্ট বা দেশীয় মুদ্রায় মাত্র ৭২ টাকায়। অর্থপাচারে বড় রপ্তানিকারকদের ব্যাপক দুর্নীতির পর এবার অখ্যাত প্রতিষ্ঠান </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমআই ট্রেডিং</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর এই ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে আমদানি-রপ্তানির ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পোশাক খাতের কর্ণধাররা মনে করেন, এত কম দামে পোশাক রপ্তানি করা অসম্ভব।  এ ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে অর্থপাচার হয়েছে। দেশে কিছু ট্রেডিং হাউস স্টক প্রক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিনিধিদের কাছে পণ্য পাঠায়। এরা বিজিএমইএ বা বিকেএমইএর সদস্য নয়। ব্যাংক ও কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এভাবে  অর্থপাচার হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা দাবি করেন, রপ্তানি পণ্য দ্রুত ছাড় করার নির্দেশনা থাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই সম্ভব হয় না। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কারণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রপ্তানিকারক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএফআইইউয়ের প্রতিবেদনে জানা গেছে, যেসব আমদানিকারকের কাছে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে তাদের ক্রেডিট রিপোর্টে মালিকানাসংক্রান্ত তথ্য, সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, কিংবা ফিন্যানশিয়াল তথ্যের মতো কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একজন আমদানিকারক যন্ত্রাংশের সরবরাহের ব্যবসা করেন। অপকৌশলে ফিলিপিন্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারে পণ্য রপ্তানির আড়ালে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগসাজশে অর্থপাচার ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের অর্থকে রপ্তানির টাকা হিসেবে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সামগ্রিক রপ্তানির আড়ালে অবৈধ হুন্ডিরও আশঙ্কা দেখছে বিএফআইইউ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফিলিপিন্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৭৯টি রপ্তানি আদেশের মাধ্যমে মোট তিন লাখ ১১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারের টি-শার্ট, ট্যাংক, প্যান্ট ও ট্রাউজার রপ্তানি করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রপ্তানিকারক ভেদে এসব পণ্য রপ্তানি দেখানো হয়েছে ১১ থেকে ৬৬ সেন্টের মধ্যে, যা গড় বাজারমূল্যের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ কম। সে হিসাবে প্রকৃত অর্থে রপ্তানি হয়েছে ৯৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৭০ ডলারের পণ্য। দেশি মুদ্রায় যা ১০২ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা। এতে রপ্তানির আড়ালে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে বিএফআইইউ। সেখানে দেখা গেছে, ফিলিপিন্সের শেখ বাংলা এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্টের দুই পরিচালক মহিউদ্দিন শেখ ও শহীদুল ইসলাম শেখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিটল রক ট্রেডিংয়ের পরিচালক নওশাদ খান বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া দেশের বাইরে অর্থ হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্পাইক রেডিমেড গার্মেন্টস ট্রেডিং যন্ত্রাংশের সরবরাহকারী। একই দেশের এআরডি আল জাজিরা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেইলারিং রিকোয়েস্টিং, কাতারের ইয়োলো রোজ ফ্যাশন ত্রিনিদাদ, মা স্টোর ট্রেডিংয়ের ও ফিলিপিন্সের রয়েল ড্রোন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিংয়ের মালিকানা ও আর্থিক সক্ষমতাসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএফআইইউ মনে করে, আমদানিকারকদের ক্রেডিট রিপোর্টে মালিকানাসংক্রান্ত কোনো তথ্য না থাকা, ব্যবসার ধরনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা, প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট ঠিকানা না থাকা, ফিন্যানশিয়াল তথ্য না থাকাসহ বেশ কিছু অসংগতি থাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট নজরদারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে অস্বাভাবিক কম মূল্যে পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমআই ট্রেডিংয়ের নামে অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংকে চলতি হিসাব আছে। অগ্রণীতে হিসাব খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮০.৪৩ লাখ টাকা জমা ও সমপরিমাণ টাকা উঠানো হয়েছে। সোনালীতে হিসাব খোলার পর ১০.০২ কোটি টাকা জমা ও সমপরিমাণ টাকা উঠানো হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের বিভিন্ন স্থান (আমিরহাট, কুলিয়ারচর, পাদুয়ারবাজার, রায়সাহেব বাজার ও ইসলামপুর শাখা) থেকে এই দুই ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার পর তা খুব কম সময়ের মধ্যে গুলশান, বনানী ও সোনালী ব্যাংকের মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শাখা থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। পুরো টাকা তুলে ফেলার বিষয়টি অর্থের গতিপথ আড়াল করার অপচেষ্টা বলে মনে করে বিএফআইইউ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের চলতি হিসাবে দেশের বিভিন্ন শাখা থেকে পাঁচ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা জমা করা হয়েছে। জমাকারীদের মধ্যে কেউ রূপার ব্যবসা ও হার্ডওয়্যারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আবার কেউ হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মচারী। অ্যাডভান্সড টিটির মাধ্যমে দুই লাখ ৯১ হাজার ৯০৯ ডলারের রপ্তানি আয় দেশে আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্সের অর্থ রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসনের নামে পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা বিএফআইইউয়ের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমদানি-রপ্তানির উদ্দেশ্যে এমআই ট্রেডিংকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ট্রেড লাইসেন্স নম্বর-১৮৭৪৯৩। এরপর প্রতিষ্ঠানটি একই মাসের ২৩ তারিখে অগ্রণী ব্যাংকের আমিন বাজার শাখায় এক লাখ টাকা জমা দিয়ে হিসাব খোলে। হিসাব নম্বর-০২০০০১৮২০২১৭৯। একই বছরের ১৬ অক্টোবরে সোনালী ব্যাংকের দৌলতপুর শাখায় আরেকটি চলতি হিসাব খোলা হয়। হিসাব নম্বর-২৭০৮৬০২০০০৬৫৫।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের নজর এড়াতে বড় রপ্তানি চালানকে ছোট ছোট চালানে ভাগ করা হয়েছে। একই তারিখে একই গন্তব্যে একই ধরনের পণ্য রপ্তানিতে একাধিক ইনভয়েস ইস্যু করা হয়েছে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল ম্যানিলায় তার ক্রেতা রয়েল ড্রোন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিংয়ের কাছে দুটি পৃথক ইনভয়েসে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যথাক্রমে ছয় হাজার ৬০ ডলার ও ছয় হাজার ৫০ ডলার ইস্যু করে রপ্তানি সম্পন্ন করেছে। এভাবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে পণ্য রপ্তানি করেছে এমআই ট্রেডিং।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, সময় নিয়ে রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন করতে গেলে ব্যবসায়ীরা হয়রানির অভিযোগ করে। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে রপ্তানি পণ্যকে বিশেষ চোখে দেখে দ্রুত শুল্কায়ন করতে। এতে অনেকেই কৌশলে অর্থপাচার করছেন। অনুসন্ধানে কিছু ধরাও পড়ছে। তবে বেশির ভাগই অধরা। এখানে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মত তাদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচারে যুক্ত থাকলেও তা অস্বীকার করেছেন এমআই ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সোহাগ মিয়া। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ওয়েস্টেজ পণ্য কিনে ঠিক সেভাবেই তা রপ্তানি করি। এটা গার্মেন্টস পণ্য না। লট আকারে কিনে লট আকারেই বিক্রি করা হয়। তবে ১১ সেন্টে তা বিক্রি হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তথ্যে ভুল আছে। ১১ সেন্টে কিছু বিক্রি হয় না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বছরে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। সাত বছরের হিসাব কষে পাচারের পরিমাণ সাড়ে চার লাখ কোটি বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এর বেশির ভাগই পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা পাচার করেছেন বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিশ্চিত অর্থপাচার বলছেন রপ্তানিকারকরা</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও ক্রিস্টাল কম্পোজিটের মালিক সুলতান আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যাংক ও কাস্টমসের যোগসাজশে কিছু ট্রেডিং হাউস অবৈধ রপ্তানিতে জড়িত। দেশের বাইরে তাদের নিজস্ব গন্তব্যে কম দাম দেখিয়ে পোশাক রপ্তানি করে। তারা স্টক লটের মাধ্যমে সৌদি আরব, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও আফ্রিকায় পণ্য পাঠায়। কিছু ব্যাংকও অবৈধ পন্থায় এই সুযোগ করে দেয়। প্রকৃত রপ্তানিকারক এই দামে পণ্য রপ্তানি করতে পারে না। তিনি বলেন, মোটামুটি মানের একটি টি-শার্ট রপ্তানি করতে কমপক্ষে এক ডলার বা ১২০ টাকা লাগে। স্টক লটের পণ্য হলেও ৭০ টাকার নিচে  রপ্তানি সম্ভব নয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই প্রসঙ্গে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ১১ সেন্টে টি-শার্ট এবং ৬৬ সেন্টে প্যান্ট পাঠানো মানে নিশ্চিত অর্থপাচার। এটা কোনোভাবেই হতে পারে না। ওয়েস্ট কাপড় থেকে ছোটদের পোশাক তৈরিতেও ৫০ সেন্টের বেশি বা ৬০ টাকা খরচ পড়ে। কাস্টমস ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোজসাজশ করে এটা করা হতে পারে। এরা বিজিএমইএ বা বিকেএমইএর সদস্য নয় বলে জানান তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>