<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি। মূলত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের মন জয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ এসব অঙ্গরাজ্যের সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের ভোটেই নির্ধারিত হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ভাগ্য। গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে প্রচারণা চালিয়েছেন কমলা। আর হারিকেন হ্যালেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। এদিকে নতুন জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। তবে আরব-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় কমলার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে গতকাল উইসকনসিনে শুরু হয়েছে আগাম ভোটগ্রহণ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার বিশিষ্ট রিপাবলিকান নেতা ও ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক লিজ চেনিকে নিয়ে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে প্রচারণা চালিয়েছেন কমলা। মূলত সিদ্ধান্তহীন ও রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে এই পথ বেছে নেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেনসিলভানিয়ায় প্রচারণা চালানোর সময় কমলা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের আধিপত্যের কারণে আমেরিকানরা পরস্পরকে দোষ দেওয়া শুরু করে এবং এসব দেখে আমরা ক্লান্ত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন গুরুত্বহীন মানুষ। তিনি পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এর পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মাসে কমলাকে সমর্থন দেওয়া রিপাবলিকান নেত্রী চেনি বলেন, একজন রাজনীতিক বা মা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও কঠিন ছিল না। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনারা যেমন বাচ্চার দেখাশোনার জন্য কাউকে নিয়োগ দেবেন না, তেমনি ওই ব্যক্তিকে (ট্রাম্প) আপনাদের প্রেসিডেন্ট বানানো উচিত নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিশিগানে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের পক্ষপাতমূলক রাজনীতিকে এক পাশে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কমলা। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিছু বিষয়ে আমাদের শুধু আমেরিকানই হতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কমলা ও ট্রাম্প উভয়েই তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীর ঐতিহাসিক সমর্থকদের পাশে পেতে প্রচারণা জোরদার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এবারের নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরব-আমেরিকান ভোটারদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, কমলা একজন যুদ্ধবাজ। হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরে এ কথা বলেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিলে প্রচারণা চালানোর সময় যুক্তরাষ্ট্রকে অভিবাসন, অপরাধ ও মূল্যস্ফীতির কবলে জর্জরিত একটি পঙ্গু ও ধ্বংস হওয়া দেশ আখ্যা দেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে হারিকেন হ্যালেনের আঘাত মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নর্থ ক্যারোলাইনায় ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি এখন বুঝতে পারি, আমি আজ যেখানে ঈশ্বর আমাকে সেখানে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গতকাল লাতিন আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন আদায়ে জোর প্রচারণা চালানোর কথা কমলা ও ট্রাম্পের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালেন কমলা</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার শেষ হওয়া রয়টার্স ও ইপসসের এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা। জরিপে অংশগ্রহণকারী নিবন্ধিত ভোটারদের ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন। এদিকে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন ৪৩ শতাংশ ভোটার। এর আগে গত সপ্তাহে করা রয়টার্স/ইপসস জরিপে কমলাকে ৪৫ শতাংশ এবং ট্রাম্পকে ৪২ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রয়টার্স ও ইপসসের সর্বশেষ দুই জরিপেই দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিবাসন নিয়ে ভোটাররা খুশি নন। এসব বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের পক্ষে ভোটাররা। জরিপে দেখা গেছে, জীবনযাপনের ব্যয় ভুল পথে যাচ্ছে বলে মনে করেন নিবন্ধিত ৭০ শতাংশ ভোটার। ৬০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, অর্থনীতি ভুল পথে যাচ্ছে। অভিবাসননীতি নিয়ে এই অবস্থান ৬৫ শতাংশের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জরিপে উঠে এসেছে, অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে ৪৬ শতাংশ ও কমলার পক্ষে ৩৮ শতাংশের সমর্থন রয়েছে। এদিকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পক্ষে ৪৮ শতাংশ ও কমলার পক্ষে ৩৫ শতাংশের সমর্থন রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে রাজনৈতিক চরমপন্থা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি মোকাবেলায় ট্রাম্পের চেয়ে কমলাকে এগিয়ে রেখেছেন ভোটাররা। জরিপে দেখা গেছে, রাজনৈতিক চরমপন্থা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি মোকাবেলায় কমলার প্রতি ৪২ শতাংশ ও ট্রাম্পের প্রতি ৩৫ শতাংশের সমর্থন রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরব-আমেরিকানদের মধ্যে এগিয়ে ট্রাম্প</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরব নিউজ ও ইউগভ প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, আরব-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে কমলার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানে আরব-আমেরিকান ভোটারের সংখ্যা বেশি। ঐতিহাসিকভাবে তাঁরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসছেন। তাই এই অঙ্গরাজ্যকে কমলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে গাজা যুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের অবস্থানের কারণে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তাঁদের সমর্থন কমেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জরিপে দেখা গেছে, আরব-আমেরিকান ভোটারদের ৪৫ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন। আর ৪৩ শতাংশ সমর্থন দিচ্ছেন কমলাকে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত প্রশ্নে ট্রাম্পকে ৩৯ শতাংশ এবং কমলাকে ৩৩ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছেন। এই সংঘাত সমাধানের ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের প্রতি বেশি আস্থা রাখছেন ভোটাররা। তবে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের প্রতি কমলার চেয়ে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি বলে মনে করেন বেশির ভাগ ভোটার। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, আলজাজিরা</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>