<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে ব্যাংকসহ ৭০টি সংস্থায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিকে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক ও নুরুল ইসলাম নাহিদের অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার অনুসন্ধানেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। সংস্থার সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো জানান, গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে সালমান এফ রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খোঁজে এসব চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপপরিচালক মো. মনজুর আলম ও টিম সদস্য সহকারী পরিচালক সাদ্দাদ হোসেন চিঠিতে সই করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই চিঠিতে সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ঋণ হিসাবের তথ্যসহ সব নথিপত্র আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ৬৩টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত ও সাবরেজিস্ট্রার অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিঠিতে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ারে কারসাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং প্রভাব খাটিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই সব নথিপত্র সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিঠিতে আরো বলা হয়, সালমান এফ রহমান, তাঁর সন্তান সৈয়দা রুবাবা রহমান ও আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত নথিপত্র এবং বেক্সিমকো ও এর সহযোগী ১৭ প্রতিষ্ঠান, নিজ ও যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি নথিপত্র সরবরাহ করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত ২২ আগস্ট সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমান। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দরবেশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> খ্যাত সালমান গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচার করেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি করে বিদেশ থেকে দেশে টাকা আনেননি তিনি। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়ান ২০১০-১১ সালে। অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগে আরো বলা হয়, গত ৩১ বছরে শেয়ারবাজারের প্রতিটি বড় কেলেঙ্কারিতে সালমান এফ রহমান জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া সরকারি টাস্কফোর্সের তথ্যানুসারে, ১২২ জন রাজনৈতিক নেতা ও আমলা দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ৪৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ মোট ১৭টি দেশে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। পাচার হওয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা সালমান এফ রহমানের, যা আমেরিকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে পাচার করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল ও নাহিদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে শিগগিরই পৃথকভাবে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। দুদক সূত্র কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে গাজীপুরের জয়দেবপুরে তিনতলা ভবন, একই এলাকায় আরেকটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। তাঁর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে। মন্ত্রী থাকাকালে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি নিজ নামের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে-বেনামে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। গাড়ি, নিজ নামে উত্তরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটসহ পাঁচ কাঠা জমি, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, তাঁর একক ও যৌথ মালিকানায় সিলেট বিয়ানীবাজারে অকৃষি জমি এবং তাঁর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে। তাঁর স্ত্রীর নামেও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল অর্থ জমা রয়েছে। তাঁর ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বন্ধু কামাল আহমদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>