<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে এক পা হারানো মমদেল হোসেনের জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। অর্থাভাবে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় নিদারুণ আর্থিকসংকটে পড়েছে পরিবারটি। অন্যের সহযোগিতায় কখনো একবেলা খেয়ে কখনো না খেয়ে পার হচ্ছে দিন। ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন মমদেল। মমদেলের বাড়ি লালবাগ দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। তিনি পেশায় ছিলেন ওয়ার্কশপ কর্মচারী। মা-বাবা বেঁচে থাকলেও অভাবের কারণে তাঁরাও সন্তানের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মমদেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেদিন ছিল শুক্রবার। অনেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। আমিও ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে সুপার মার্কেটের সামনে গেলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করে। আমার পায়ে ও হাতে গুলি লাগে। এরপর আর কিছু বলতে পারি না। শুনেছি আমাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন আন্দোলনকারী আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরের দিন জ্ঞান ফিরলে দেখি, আমি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালে পুলিশ ডিস্টার্ব করে। এরপর কিছু টাকা ঋণ করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই। লুকিয়ে লুকিয়ে সেখানেও চিকিৎসা নিই। কিন্তু সেখানেও পুলিশ আমার খোঁজ করতে থাকে। ওষুধ আনতে দিত না, প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত। আমার সঙ্গে যারাই যাইত তাদেরই ভয়ভীতি দেখাত। আমার সঙ্গে থাকা দুজনকে  আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, রংপুরে এসে একটা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিই। বাম পা কেটে ফেলতে হয়। বাম হাতের একটা আঙুল কেটে ফেলতে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>