<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ বস্তি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আশ্রয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ একর ক্যাম্পাসের ২০ একরের বেশি জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে বস্তি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ভবনের একাংশ অবৈধভাবে ভাড়া দেওয়া হতো। এই বস্তি ও ভবনে ২৬০টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছিল। এসবের ভাড়ার টাকার বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পকেটে যেত বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ভাড়ার একটি অংশ মাসিক এক লাখ টাকার বেশি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া হতো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বস্তি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন। এ ছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ এবং অবৈধভাবে দখলকৃত সব স্থাপনা ও জমি ছেড়ে দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি ও বিভিন্ন ভবনে অবৈধভাবে ভাড়া থাকা ২৬০টি পরিবারের মধ্যে ১৯০টি ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বলেছে, বস্তি সমস্যা সমাধানে আমরা শক্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই মধ্যে ভাড়ায় থাকা বেশির ভাগ পরিবার ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে। বাকিরাও দ্রুতই ত্যাগ করবে। তবে অবৈধ বস্তি স্থাপন এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। নিয়মের বাইরে গড়ে ওঠা বস্তি ভেঙে ফেলা হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আব্দুল লতিফ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস সংস্কার এবং শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের দিকে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।</span></span></span></span></p>