<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ বেলাল গিয়েছিলেন কাতারে। প্রবাসজীবনের এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় উর্মি নামের এক মেয়ের সঙ্গে। কথা হয় পারিবারিকভাবেও। সাড়ে পাঁচ বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত পিতার চিকিৎসার জন্য ফেরেন দেশে। কিন্তু পিতার চিকিৎসায় নিজের আয়ের কোনো টাকাই ব্যয় করতে পারলেন না। ডলার, কাতারি রিয়াল যা কিছুই ছিল সবই কেড়ে নেয় একটি চক্র। এরপর পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২২ দিন পর কারামুক্ত হলেও তিনি এখন অসহায়। পুলিশের কাছে গিয়েও পাত্তা পাননি। বরং হুমকির মুখে খুলনা ছেড়ে চলে গেলেন গ্রামের বাড়ি বরিশাল। শুধু তারিখের দিন খুলনার আদালতে এসে হাজিরা দিয়ে চলে যান। এখন আইনিভাবেই নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খণ্ডনের চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া টাকা, ডলার, মালপত্র ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করেন। আর এই পুরো চক্রের সঙ্গে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন পুলিশের একজন এসআই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেলাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিতার চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তিও করিয়ে ছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে আসে এক এসআইয়ের ফোন। যেতে হবে নগরীর হোটেল ক্যাসল সালামে। ভয় দেখানোর পর বাবাকে হাসপাতালে রেখেই চলে যাই সেখানে। সেখানে যাওয়া মাত্রই সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রটি আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। যে এসআই ফোন দিয়েছিলেন সেই সুকান্ত আমার দুটি মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেন। হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান থানায়। মারধর করে ভিডিও করে পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। দাবি করা হয় ৩০ লাখ টাকা। নইলে মেরে ফেলা হবে। বড় ভাইয়ের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েও ছাড়লেন না আমাকে। উল্টো একটি মামলা সাজানো হলো। প্রতারণার মূল নায়িকা উর্মির মোবাইল থেকে আমার মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হলো কিছু বিকৃত ছবি-ভিডিও। আর ওই ছবি-ভিডিওর সূত্র ধরেই রাত ২টায় আমার বিরুদ্ধে করা হলো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা। পরদিন পাঠানো হলো আদালতে। গেলাম জেলে। ছয় দিন নিস্তেজ ছিলাম মেডিক্যালে। আদালতে আনার পর রিমান্ডে নিয়েও এসআই সুকান্ত এক ওই প্রতারকচক্রের সদস্যরা আমাকে আবার মারধর করেন। মার ঠেকাতে আমার মা আরো দুই লাখ টাকা দেন পুলিশকে। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর ২২ দিনের মাথায় আমি মুক্তি পেয়ে দেখি সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে পুরো ঘটনার নায়ক সেই এসআই সুকান্ত খুলনা থানা থেকে বদলি হয়ে এখন ঢাকা এপিবিএনে আছেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ডলার, রিয়াল, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন এসআই সুকান্ত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেলাল মামলাটি করেছেন খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের সদর আদালতে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খুলনা পিবিআইয়ের কাছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যে বা যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>