<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর ধানমণ্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে গত বছরের ৯ জুন প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন মাহাবুবা রহমান আঁখি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সিজারের পরদিন ১০ জুন তাঁর নবজাতক শিশু মারা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুন আঁখিও মারা যান। এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় করা মামলায় ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে, শুধু আর্থিক লোভের কারণেই আসামিরা এই অন্যায় কাজটি করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার শিকার হয় মা-শিশু। এই চিকিৎসকরা এ ধরনের অপরাধ হরহামেশাই করে থাকেন। সবাই অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। আসামিরা হলেন হাসপাতালটির চিকিৎসক মুনা সাহা, শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ছন্দা, এহসান ওরফে মো. এহসানুর রহমান, মো. জুমের আলী ওরফে জমির। গত বছরের ১৪ জুন ভুক্তভোগী আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। সেই রাতে মুনা সাহা ও ছন্দাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৫ জুন তাঁরা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এক মাস পর ১৮ জুলাই তাঁরা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক রাসেল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর মামলা। প্রথম থেকেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় তদন্ত পরিচালিত হয়েছে। মামলার তদন্তে যা পেয়েছি, সেটাই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার বাদী মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালতে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। আসামিদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। তদন্ত নিয়ে অনেক লুকোচুরি করা হয়েছে, বারবার যোগাযোগ করলেও তদন্ত কর্মকর্তা সব কিছু এড়িয়ে গেছেন। পিবিআই বা ডিবি এই মামলার অধিকতর তদন্ত করুক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মুনা ও এহসানুরের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগপত্রটি ঠিকভাবে হয়নি। চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অভিযোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কারোর মতামত নেই। যেহেতু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অভিযোগপত্রে নাম এসেছে, আমরা ট্রায়াল মোকাবেলা করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>