<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডাইনোসররা কেন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মাঝে তেমন কোনো মতবিরোধ নেই। কিন্তু ডাইনোসররা কেন ও কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে দাপুটে প্রাণী হিসেবে আবির্ভূত হলো, সে ব্যাপারে কোনো ঐকমত্য নেই। বিষয়টি নিয়ে নানা মত রয়েছে। সুইডেনের আপসালা ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, ডাইনোসররা কী খেত, সেটা বিশ্লেষণ করা গেলে বোঝা যাবে, এই প্রাণীটি কেন পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াতে পারত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারা ২০ কোটি বছরের পুরনো প্রস্তুরীভূত ডাইনোসরের বিষ্ঠা ও বমি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। হজম হয়ে যাওয়া ডাইনোসরের এসব প্রস্তুরীভূত বর্জ্য ব্রুমালিটিস নামে পরিচিত। এসব ব্রুমালিটিস পরীক্ষা করে গবেষকরা বুঝতে পারেন, ডাইনোসররা কী খেত এবং তাদের পক্ষে কতটুকু শক্তিশালী হওয়া সম্ভব। সুইডিশ গবেষকদের গবেষণার ফল ২৭ নভেম্বর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেচার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। গবেষণাদলের সহনেতা  মার্টিন কভস্টর্ম লিখেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা আমাদের গবেষণা থেকে এটাই বুঝতে পেরেছি, আপনি যত বেশি অখ্যাত জীবাশ্ম ব্যবহার করবেন গবেষণায়, তত বেশি দুর্দান্ত ফল আপনি পাবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা ঠিক, ডাইনোসররা কেন অন্য প্রাণীদের হটিয়ে শীর্ষে উঠে আসতে পেরেছে, সেটা নিয়ে জীবাশ্মবিদদের মাঝে একাধিক তত্ত্ব চালু রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারত ডাইনোসররা। এ কারণে তারা টিকে থাকার লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে যায়। কিন্তু এই মত সবাই মেনে নিতে পারেননি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্টিন কভস্টর্ম ও তার সহকর্মীরা মনে করেন, কোনো প্রাণীর স্বভাব ও বিবর্তন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে হলে আগে নিশ্চিত হতে হবে, প্রাণীটি আসলে কী কী খেত। এই লক্ষ্যে সুইডিশ গবেষকদল পোল্যান্ড ও মধ্য ইউরোপের অববাহিকা থেকে ডাইনোসরের হজম হওয়া খাবারের পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম সংগ্রহ করেন। এসব জীবাশ্ম নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর তারা বুঝতে পারেন, যেসব ডাইনোসর নানা ধরনের খাবার খেত, সেগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা বেশি ছিল। সূত্র : নেচার</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>