<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালে বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে সঙ্গী বা আত্মীয়র হাতে একজন নারী খুন হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতিসংঘ এই কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, বিশ্বব্যাপী নারী হত্যার হার এখনো আশঙ্কাজনকভাবে উচ্চ স্তরে রয়ে গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) এবং জাতিসংঘের নারী সংস্থার প্রকাশিত যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রায় ৮৫ হাজার নারী ও কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ (৫১ হাজারের বেশি) নারী ও কিশোরী তাদের সঙ্গী বা আত্মীয়ের হাতে খুন হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন বা প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী নিকটতম ব্যক্তির হাতে খুন হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনটি ১০৭টি দেশ বা অঞ্চল থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং ইউএনওডিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পাঠানো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান দিবসে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নারীদের জন্য বাসাবাড়ি এখনো সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা হিসেবে রয়ে গেছে। যদিও ২০২৩ সালে নারীদের তুলনায় পুরুষরা হত্যার শিকার হয়েছে চার গুণের বেশি। তাদের অনেকেই পরিচিত ব্যক্তির হাতে খুন হয়েছে। ২০২৩ সালে আফ্রিকায় সঙ্গী বা আত্মীয়র হাতে সবচেয়ে বেশি নারী (২১ হাজার ৭০০ জন) খুন হয়েছে। সবচেয়ে কম নারী হত্যার হার ছিল ইউরোপ ও এশিয়ায়। প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও লিঙ্গবৈষম্য এবং গত্বাঁধা ধারণার কারণে কয়েকটি দেশে নারী হত্যার হার আশঙ্কাজনকভাবে উচ্চ স্তরে রয়ে গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের অবশ্যই লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং ক্ষতিকর প্রথাগুলো মোকাবেলা করতে হবে। এসব বিষয় নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে স্থায়ী করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘের নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন, সরকারিভাবে জবাবদিহি এবং নারী অধিকার সংস্থাগুলোর জন্য তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসহ জাতীয় বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং জিরো টলারেন্স নীতিও অপরিহার্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></span></p>