<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এ সংশোধন এনে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তাতে গুম, মানবপাচারের মতো অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দেশের বাইরে বসে কেউ অপরাধ করলে সেই ব্যক্তিকেও বিচারের আওতায় আনার বিধানও যুক্ত করা হয়েছে অধ্যাদেশে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যে হত্যাকাণ্ড চালায়, তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে করার উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বিগত দেড় দশকের শাসনামলে গুম, খুন, আটক, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তারও বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২০ নভেম্বর এ আইন সংশোধনের খসড়ায় অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। সেই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার ১৯৭৩ সালের আইনটি সংশোধন করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রণীত অধ্যাদেশ অনুসারে গুম ও মানবপাচারের মতো অপরাধের বিচারও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা যাবে। আগের আইনে গুমসংক্রান্ত অপরাধের বিচারের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে ছিল না। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আনসার বাহিনী এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট কোনো বাহিনী ও বাহিনীর সদস্যের বিচারের বিধানও রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। আগের আইনে শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কথা বলা ছিল। এই তিন বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করা হয়েছে। অপহরণ, দাসত্ব, আটক, নির্যাতন, জোরপূর্বক নির্বাসন, যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি  গুম, মানবপাচার, যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, গর্ভধারণ, বন্ধ্যাত্বকরণকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কাউকে বা কোনো জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয়ে আক্রমণ, নিপীড়ন করলে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারের আওতায় আনা যাবে। আন্তর্জাতিক রোম সংবিধি সনদ অনুসারে এই অপরাধগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ রোম সংবিধি সনদে স্বাক্ষর করে এসব অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাদেশের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি বা আদেশ নিয়ে যেকোনো স্থানে তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অনুমতি নিয়ে বিচারের যেকোনো পর্যায়ে অতিরিক্ত সাক্ষী ডাকতে পারবে প্রসিকিউশন। যেকোনো পর্যায়ে শুনানির অডিও-ভিডিও রেকর্ড করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে জাতিসংঘসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ট্রাইব্যুনালের বিচার পর্যবেক্ষণ করার বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুমতি সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>