<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি রপ্তানি আয়ের ৪৯ কোটি ডলার বা পাঁচ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেয়া কসমেটিকস লি.</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কম্পানির অ্যাকাউন্টে (বৈদেশিক মুদ্রায় পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে) জমা না করার কারণ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পূবালী, সাউথইস্ট ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে তদন্তের আহবান জানায় ক্ষতিগ্রস্ত এই কম্পানিটি। অর্থ উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে পৃথক চিঠির মাধ্যমে তদন্তের অনুরোধ জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার কারণ জানাতে তিন ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদিও কেয়া কসমেটিকস লি. সরকারের তালিকায় একটি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংকের ভুল হিসাবের কারণে খেলাপির খাতায় নাম উঠেছে তাঁর প্রতিষ্ঠানের। অথচ তিনটি ব্যাংকের কাছে আমার পাওনা পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। খেলাপি হিসেবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের কাছে ব্যাংকের পাওনা হচ্ছে এক হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান ব্যাংকের ক্রেডিট অফিসার মোহাম্মদ মতিনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খালেক সাহেবের বিষয়টি অনেক পুরনো। যেহেতু উনি অভিযোগ করেছেন তাই আবারও বিষয়টি তদন্ত করতে হবে। তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে সাউথইস্ট ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেয়া কসমেটিকসের মালিক যে অভিযোগ করেছেন তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ, বিদেশ থেকে যদি ডলার এসে থাকে সেই ডলার নিশ্চয়ই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টেই আসবে। ড্যাশবোর্ডে শো করবে। পাশাপাশি কোড অনুযায়ী ডলার জমা হবে। ব্যাংক চাইলেও কোনো গ্রাহকের ডলার অবৈধভাবে স্থানান্তর করতে পারে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র হুসনেয়ারা শিখাকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ রকম অভিযোগ করা খালেক সাহেবের পুরনো রোগ। কারণ বিদেশ থেকে ডলার এলে সেই ডলার স্থানান্তর করার ক্ষমতা কোনো ব্যাংকের নেই। এর আগেও তিনি বহু তদবির করেছেন। অভিযোগ করেছেন কিন্তু কাজ হয়নি। এখন এই বিষয়টা নিয়ে যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফের তদন্তে নামে তাহলে কেয়া কসমেটিকস লাভবান হতে পারবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংক হিসাবে রপ্তানি আয় মার্কিন ডলার স্থানান্তর না হওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি)। এ ছাড়া এটি নিষ্পত্তি করতে এরই মধ্যে ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে তিনটি অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনার নিষ্পত্তি হয়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেয়া কসমেটিকসের পক্ষ থেকে অর্থ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের নিট শিপিং অ্যান্ড ইয়ার্ন বিভাগ থেকে বিদেশে পণ্য রপ্তানির পর সেই আয় দেশে আসে। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৭১ লাখ (১৬৭.১৪ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার পূবালী ব্যাংক আদায় করেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় এ অর্থ আদায় করলেও ওই ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বৈদেশিক মুদ্রায় পরিচালিত অ্যাকাউন্টে ডলার স্থানান্তর করা হয়নি। একইভাবে রপ্তানির বিপরীতে ১১১ কোটি ১৮ লাখ (১১১১.৮৬ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আদায় করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক। বিপরীতে ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রায় পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেছে মাত্র ৮৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলার (৮৫৪.৩৯ মিলিয়ন) ডলার। কিন্তু ২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়নি। চিঠিতে আরো বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে আট কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় আদায় করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো ডলার কেয়া কসমেটিকসের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়নি।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, পূবালী ব্যাংকের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখায়। ওই শাখার জেনারেল ম্যানেজার সুলতানা শরিফুন নাহার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর নির্দেশে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড ইনচার্জ (লোন অ্যান্ড অ্যাডভান্স) খান মো. জাবেদ জাফর জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেয়া কসমেটিকস লি. কম্পানির একটি চিঠি আমরাও পেয়েছি। এটি নিয়ে কাজ চলছে। তবে প্রতিষ্ঠানের দাবি যৌক্তিক নয়। ব্যাংক প্রতিটি খাতের হিসাব রেখেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫০০ কোটি টাকার একটি মামলা চলমান আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছি। পূবালী ব্যাংক আমার ১৬ কোটি ডলার আদায় করেছে। ব্যাংকঋণের টাকা আমার কাছে পাওনা থাকলে সেটি অবশ্য পরিশোধ করব। কিন্তু এর আগেই আমার রপ্তানি আয়ের ডলার আমার ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, কম্পানিটির অডিট করতে একাধিক ফার্ম নিয়োগ নিয়েও নানা বিতর্ক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। কিন্তু অডিট করতে নির্দিষ্ট অফিসার ও হিসাব ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।</span></span></span></span></p>