<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা শহরের বাইরে যত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, এর প্রায় অর্ধেক আক্রান্ত হয়েছে উপকূলের ১০ জেলায়। এসব জেলায় মৃত্যুর হারও বেশি। তবে উপকূলের জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার কারণ জানা যাচ্ছে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনস্বাস্থ্য ও কীটত্ত্ববিদরা বলছেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ এসব জেলায় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা দুর্বল। মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড এখনো ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ডেঙ্গু শনাক্তের প্রাথমিক ব্যবস্থা না থাকায়ও মৃত্যু বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসাবে, চলতি বছর ঢাকার বাইরে ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ জন এবং মৃত্যু ৮৪ জনের। এর মধ্যে উপকূলের ১০ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং মারা গেছে ৭২ জন। অর্থাৎ ঢাকা শহরের বাইরের ৮৬ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে এ কয়টি জেলায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কীটতত্ত্ববিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকার বাইরে কী হচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। কারণ সেখানে কোনো গবেষণা হয় না। সাধারণত শহরগুলোতে ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস ইজিপটাই, আর গ্রামে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটায় এডিস অ্যালবোপিকটাস। বাস্তবে কী ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, এডিস এলবোপিকটাস একই ঘরানার মশা হলেও গাছের কোটরে, কলাগাছের দুটি পাতার মাঝখানে বা কচুগাছের দুই পাতার মাঝখানে যে পানি জমে, বাঁশ কাটার পর সেখানে থেকে যাওয়া গোড়ায় যে পানি জমে, সেখানে বেশি হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আক্রান্ত বেশি কক্সবাজারে, মৃত্যু বরিশালে </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপকূলের ১০টি জেলায় মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। এই জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৩০ জন, মৃত্যু পাঁচজনের। বরগুনায় আক্রান্ত এক হাজার ৩০৩, মৃত্যু দুজনের। বরিশালে আক্রান্ত এক হাজার ৩৬৬ এবং মৃত্যু ২৫ জনের, ভোলায় আক্রান্ত ৪৮২ এবং মৃত্যু একজনের, চাঁদপুরে আক্রান্ত ৮১৫ জন, মৃত্যু শূন্য। চট্টগ্রামে আক্রান্ত দুই হাজার ৬৪৮ জন, মৃত্যু ২১ জনের, যশোরে আক্রান্ত ৭০৯ এবং মৃত্যু তিনজনের, খুলনায় আক্রান্ত এক হাজার ৮৬৬ জন, মৃত্যু ১১ জনের, পিরোজপুরে আক্রান্ত ৫৯৯ জন, মৃত্যু দুজনের, পটুয়াখালীতে আক্রান্ত ৮৫৮ জন এবং মৃত্যু দুজনের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, উপকূলের এসব জেলায় এডিসের কোন ধরনের মশার দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে কোনো গবেষণা নোই। তবে এ অঞ্চলে যদি বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে, এটি একটি কারণ হতে পারে। কারণ আগে থেকে এসব অঞ্চলে ভাইরাস, বাহক দুটিই ছিল। তবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ হলো এসব জেলায় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা দুর্বল, এটা নিশ্চিত বলা যায়। কারণ ডেঙ্গু শনাক্তে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেই। প্রাথমিক শনাক্তের ব্যবস্থা যেখানে দুর্বল, সেখানে মৃত্যুর হার বেশি। শেষ মুহূর্তে মানুষ হাসপাতালে আসছে চিকিৎসা নিতে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার বাইরে আক্রান্ত ৫৯%</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সর্বশেষ (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত) হিসাবে সারা দেশে ৪৪৭ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছে একজন। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৭০২। সারা দেশে মারা গেছে ২৬৯ জন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ২২৫, যা এক বছরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, ২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন এবং ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগে এ বছর প্রাণ গেছে মোট ২৬৯ জনের। এক বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর এই সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। বছরওয়ারি হিসাবে ২০২৩ সালে এক হাজার ৭০৫ জন, ২০২২ সালে ২৮১ জন এবং ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে জানুয়ারি পর্যন্ত</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু এ বছর অন্যান্য বছরের মতো হবে না। নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকবে। জানুয়ারিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, আজকের বৃষ্টির জমা পানিতে যে মশার জন্ম হবে, সেটির মৃত্যু হতে ডিসেম্বর চলে যাবে। এই সময়ে রোগটি ছড়াবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>