<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রটোস্টার লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভুয়া কাগজ দেখিয়ে কারসাজি করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে একটি ঠিকাদারি কাজ নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কম্পানিটি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খানের মালিকানাধীন। পরে কম্পানির ওই কাগজ জাল বলে শনাক্ত হলে তাদের দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে ডিএনসিসি ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের জন্য খুঁটি ও অন্য বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ এলইডি লাইট সংগ্রহে পাঁচটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে কম্পানিটি এমন কারসাজির আশ্রয় নেয় বলে জানা গেছে। ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার এই কাজ পেতে কম্পানিটি অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমতিপত্র ব্যবহার করে, যা জাল বলে প্রমাণিত হয়। পরে তাদের আবেদন বাতিলও করা হয়। কিন্তু প্রতারণার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ কম্পানিটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঘটনাটি আমার জানা আছে। কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। ফাইল রেডি করা হচ্ছে। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগের বিষয়ে আকরাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি ডিএনসিসির একটি বড় কাজ করেছি। আর প্রায় ৩০ কোটি টাকার একটা সড়ক বাতির কাজের চেষ্টা করেও পাইনি। এতে একটি কম্পানির সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। তারপর তো আর কোনো কাজই পাইনি। বরং আমি সিটি করপোরেশনের কাছে এখনো কাজের টাকা পাই। একটি গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ প্রকাশের কারণে সিটি করপোরেশন আমাদের বিল আটকে রেখেছে। এসব বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে লিখিতভাবে জানাব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা যায়, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে মোট পাঁচটি দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি কম্পানিটিকে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার সুপারিশ করে। তবে ডিএনসিসির সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ সুপারিশের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসিসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আকরাম খানের সঙ্গে সাবেক মেয়র ও তাঁর ভাগ্নে তৌফিক রহমানের সুসম্পর্ক ছিল। এ কারণে তাঁর কম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিএনসিসি চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের জন্য খুঁটি ও অন্য বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ চার হাজার ৫০টি এলইডি লাইট সংগ্রহের জন্য পাঁচটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। গত ২ জুন সাবেক ডিএনসিসি মেয়র জাল অনুমোদনের চিঠির কারণে আকরামের কম্পানি প্রটোস্টার লিমিটেডের দরপত্র প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তিনি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কম্পানিটিকে তাদের দরপত্রে অংশ নিতে নিষেধ করেননি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিএনসিসির তথ্য অনুসারে, প্রটোস্টার লিমিটেড ২ ফেব্রুয়ারি একটি প্রস্তুতকারকের অনুমোদনপত্র জমা দেয়, যাতে সিগনিফাই বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুল গাফফারের স্বাক্ষর ছিল, দরপত্র ৯৪১২৫৩, ৯৪১২৫৪, ৯৪২৫৪৩, ৯৪১২৫৬ এবং ৯৪১২৫৭ নম্বরের জন্য।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি ফিলিপসের এজেন্ট সিগনিফাই বাংলাদেশ ডিএনসিসিকে জানায়, তারা পাঁচটি দরপত্রে অংশ নেওয়ার জন্য প্রটোস্টারকে কোনো অনুমোদনপত্র দেয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটি আরো বলেছে, তারা ভিন্ন একটি কম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে। পরে ডিএনসিসি অনুমোদনপত্র জাল করার অভিযোগের বিষয়ে প্রটোস্টারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। উত্তরে প্রটোস্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ বখতিয়ার আলী লেখেন, সিগনিফাই বাংলাদেশের মৌখিক অনুমতির পর ডিএনসিসিতে নির্মাতার অনুমোদনের প্রশংসাপত্র জমা দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিগনিফাই বাংলাদেশের চিঠি পাওয়ার পর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ১০ জুন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮-এর ১২৭/৪ ধারা অনুযায়ী প্রটোস্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে একটি চিঠি পাঠায়। অথচ এই ধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরবর্তী ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে ঘোষণা করার সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>