<p>আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলমান সংকট সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের পরবর্তী চক্রের সব ইভেন্টের বৈশ্বিক আয়োজক স্বত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য আইসিসিকে পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ।</p> <p>ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) নিরাপত্তার অজুহাতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে টিম ইন্ডিয়াকে পাকিস্তানে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর লতিফ এই পরামর্শ দেন। </p> <p>ভারতীয় একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে একটি সাহসী পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আইসিসির নিকট আমার পরামর্শ হলো ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের চক্রের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান থেকে সব বৈশ্বিক ইভেন্টের আয়োজক স্বত্ব কেড়ে নেওয়া। আইসিসির উচিত এই বোর্ডগুলিকে প্রথমে সব সমস্যার সমাধান করতে বলা এবং তারপর হোস্টিং অধিকার দেওয়া।’</p> <p>লতিফ আরো বিশদভাবে বলেছেন, ‘এই চক্রের মধ্যে পাকিস্তান দুটি আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করবে এবং  ভারত চার-পাঁচটি ইভেন্ট আয়োজন করবে। যদি এই দুটি দল একে অপরের দেশে খেলতে না চায় তাহলে আমি  আইসিসিকে শুধু একটা পরামর্শ দিচ্ছি যে কাদের আয়োজক স্বত্ব কেড়ে নিতে হবে।’</p> <p>বিসিসিআই তাদের দল পাকিস্তান না পাঠানোর সিদ্ধান্তের পর শোনা যাচ্ছিল ‘হাইব্রিড মডেলে’ হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। কিন্তু পিসিবি এসব ধারণা প্রত্যাখ্যান করার পর বিষয়টি নিয়ে বিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। পাকিস্তান চাইছে পুরো টুর্নামেন্ট দেশের মধ্যে হউক। এমনকি গণমাধ্যেমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসিকে চিঠি দিয়ে বিসিসিআইয়ের অবস্থানের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।</p> <p>চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হাইব্রিড মডেলের ভাবনায় দক্ষিণ আফ্রিকা বা দুবাইয়ের মতো সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যুগুলির কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এসব সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে লতিফ মনে করিয়ে দেন,  “পিসিবি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করছে কারণ আইসিসি তাদের হোস্টিং অধিকার দিয়েছে। বিসিসিআই সে সময় রাজি হয়েছিল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সব কিছুই হওয়া উচিত, এটি একটি আইনি দলিল। এটি অনুসরণ করা উচিত, চুক্তিতে হাইব্রিড মডেল সম্পর্কে কিছু নেই।”</p> <p>“চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এবং এসিসি টুর্নামেন্টকে মেশাবেন না। এই টুর্নামেন্টের হোস্টিং অধিকার আট বছরের চক্র চুক্তির অধীনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।”- তিনি যোগ করেন।</p> <p>২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান দলের ভারত সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ৫৬ বছর বয়সী সাবেক পাক অধিনায়ক বলেছেন,  “এটি আবেগের বিষয় নয়; এটি আইনি কাঠামো মেনে চলার বিষয়। হাইব্রিড মডেল নিয়ে সবাই আলোচনা করছে কিন্তু কেউ আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে না।”</p> <p>ভারত সর্বশেষ ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের সময় পাকিস্তানে খেলেছিল এবং তাদের দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সফরটি ছিল ২০০৫-০৬ সালে। দুই দেশের মধ্যকার শেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ছিল ২০১২-১৩ সালে। সেবার পাকিস্তান দল ভারত সফর করেছিল। তবে এরপর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হলেও আইসিসি ইভেন্ট এবং এশিয়া কাপে দুই দল একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে।</p>