<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান আল্লাহ মানুষের জন্য মাদক সেবনকে নিষিদ্ধ করেছেন। কারণ তাতে মানুষ ইহকালীন ও পরকালীন অনিষ্টের শিকার হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মাদক সব অনিষ্টের মূল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুনানে দারা কুতনি : ৪:২৪৭)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক সেবনে শারীরিক ও আত্মিক ক্ষতির পাশাপাশি ধর্মীয় ক্ষতি সাধিত হয়। আসুন, মাদক সেবনে ধর্মীয় ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নিই এবং তা থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হই।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক সব মন্দকর্মের জন্মদাত্রী : মাদকতা বহু পাপের জন্ম দেয়। হাদিস থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যায়। উসমান (রা.) বলেন, তোমরা সব অনিষ্টের জন্মদাত্রী মাদক সেবন থেকে বিরত থাকো। পূর্ববর্তী উম্মতে এক বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন, যিনি শুধু আল্লাহর ইবাদত করতে মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেন। একজন মন্দচরিত্রা নারী তাঁর পেছনে পড়ল এবং স্বীয় পরিচারিকার মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে নিজের বাসায় ডেকে আনল। বাসায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পরিচারিকা সব দরজা বন্ধ করে দিল। ঘরে প্রবেশ করে তিনি একজন সুন্দরী নারীকে দেখতে পেলেন, যাঁর পাশে একটি ফুটফুটে ছেলে এবং মদের পাত্র রাখা ছিল। নারী বললেন, আমি আপনাকে ডেকেছি এই ছেলেটিকে হত্যা করার জন্য। যদি সেটা করতে না চান তাহলে আমার সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে হবে, নয়তো আমার সামনে রাখা মদ পান করতে হবে। এগুলোর কোনো একটি অবশ্যই আপনাকে করতে হবে। যদি অস্বীকৃতি জানান, তাহলে আমি চিৎকার করব এবং লোকসমাজে আপনাকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করব। তিনি উপায়ান্তর না দেখে, তুলনামূলক সহজ মনে করে মদপানে রাজি হন। মদ পান করলে তিনি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যান এবং সেই অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হন এবং পাশে রাখা ছেলেটিকেও হত্যা করেন। অতএব, তোমরা মদ পরিত্যাগ করো। কেননা আল্লাহর শপথ! মদ ও ঈমান কখনো সহাবস্থান করে না। এর একটি অন্যটিকে বের করে দেয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(নাসাঈ, হাদিস : ৫৬৬৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক সেবনে কবিরা গুনাহ : মাদক সেবনে কবিরা গুনাহ হয়, যা তাওবা ছাড়া ক্ষমা করা হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেছেন, মাদক সেবন বড় কবিরা গুনাহ এবং মন্দকর্মসমূহের জন্মদাত্রী। অতএব, তোমরা মদ ও মাদক সেবন করো না। কেননা তা প্রত্যেক অনিষ্টের দ্বার উম্মোচনকারী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(দারাকুতনি : ৪:২৪৭)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক সেবনের সময় ঈমান থাকে না : মদ ও মাদক সেবন এমন জঘন্য ও গর্হিত পাপ যে তার কারণে ব্যক্তির সাময়িক ঈমান চলে যায়। আবু হুরায়রা (রা.) নবীজি (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, মদ পানকারী ব্যক্তি মদ পান করা অবস্থায় মুমিন থাকে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(বুখারি, হাদিস : ৬৭৭২)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদকতা শত্রুতা তৈরি করে : মদ মানুষকে জ্ঞানশূন্য করে। যার কারণে মানুষ ভালো-মন্দের তফাত করতে পারে না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শয়তান মানুষকে খেপিয়ে তোলে। সুরা মায়িদার ৯১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মদ ও জুয়ার দ্বারা শয়তান তোমাদের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টির অভিলাষ করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪০ দিনের নামাজ কবুল হবে না : মাদক সেবনকারী ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাদক সেবন করবে এবং নেশাগ্রস্ত হবে, তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হবে না। এ অবস্থায় মারা গেলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (নাসাঈ, হাদিস : ৫৬৬৫)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধর্মীয় এসব ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মদ ও মাদক থেকে আমাদের বিরত থাকা অপরিহার্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসুন, মদ ও মাদকতাকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলি।</span></span></span></span></p>