<p>শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ক্রয় ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত বড় বড় চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>গতকাল রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় রিভিউ কমিটি সরকারকে এই পরামর্শ দেয়। একই সঙ্গে তারা বিশেষ প্রস্তাবে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ক্রয়ে আহ্বানকৃত এবং অনাহ্বানকৃত চুক্তিগুলোর বিস্তারিত রিভিউর জন্য তাদের আরো সময়ের প্রয়োজন।</p> <p>কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এমন সব প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিসি আইন ও কার্যক্রম অনুযায়ী চুক্তিগুলোর বিষয়ে পুনরায় আলোচনা বা বাতিল করার সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যেতে পারে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়—আমাদের কাজ সহজতর করা এবং আমাদের কমিটিকে সহায়তার জন্য এক বা একাধিক শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক আইনি ও তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে নিয়োগ করার সুপারিশ করছি। কমিটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে তাদের তদন্ত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হবে এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিসিতে গ্রহণযোগ্য হবে।</p> <p>পর্যালোচনা কমিটি যেসব বড় আকারের চুক্তির তদন্ত করছে, সেগুলো হলো : আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল এক হাজার ২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র. পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানি (তরল জ্বালানি ও গ্যাস), আশুগঞ্জ ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানি (তরল জ্বালানি ও গ্যাস) ও মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।</p> <p> </p>