<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ভেতরেও চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) কনটেইনার ওঠানামায় (হ্যান্ডলিং) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.২২ শতাংশ। আর কনটেইনার ওঠানামায় এই ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারের একক)। গত বছর একই সময়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল সাত লাখ ৫৩ হাজার ৫৯৬ টিইইউএস। অর্থাৎ গত বছরের তিন মাসের তুলনায় এবার ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউএস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। এবার কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেশি হয়েছে ১০.২২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই থেকে অক্টোবর) গত চার মাসে ১৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১.৮৫ শতাংশ বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৫ হাজার ৫০০ কনটেইনার ইয়ার্ডগুলোতে স্থির ছিল। অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ধারণক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ কনটেইনারে ভর্তি ছিল। তবে গত তিন মাসে পদ্ধতিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তা ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়ে। আগে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছিল ছয় থেকে আট দিন। বর্তমানে অপেক্ষমাণ সময় এক দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাকিস্তানের করাচি-চট্টগ্রাম রুটে জাহাজ পরিচালনার বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>