<p>নড়াইলের নলদীতে শিশু হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের আসামি সৈয়দ লিটন হাত কড়া পরা অবস্থাতেই সময় টিভির সাংবাদিক সজীব রহমানকে লাথি মেরেছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে ছবি তোলার সময় এই ঘটনা ঘটে। </p> <p>বুধবার লিটনসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী। যাবজ্জীবন ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। </p> <p>যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নলদী ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর ও তার দুই পুত্র সৈয়দ লিটন ও জাহিদুর রহমান মিঠু। একই গ্রামের ওমর আলীর পুত্র শিমুল মল্লিক ও তার মা শামীমা বেগম।</p> <p>আদালত চত্বরে উপস্থিত থাকা সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাক ও বাংলাভিশন প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বলেন, পুলিশের সামনে হাতকড়া পরা আসামি সাংবাদিককে মেরেছে। পেশাগত কাজে সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত হতে হলে সেটা খুবই কষ্টদায়ক।</p> <p>সজিব রহমান বলেন, আদালতে শিশু শাহীন হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আসামিদের আদালত চত্বর থেকে বের করার সময় ছবি তুলতে গেলে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করলেও আসামির স্বজনরা হামলে পড়ে এমনকি হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামিরা আমার ওপর হামলা চালায়।</p> <p>নড়াইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর সরেস চন্দ্র বলেন, আসামিরা প্রথম থেকেই উগ্র আচরণ করছিলেন। তারা সাংবাদিক দেখে গালিগালাজ করছিলেন। পুলিশ পাহারায় হাতকড়া পরা আসামিরা কিভাবে সাংবাদিকের গায়ে লাথি মারল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামি কর্ডন করে রেখেছিল পুলিশ। এই অবস্থায় লাথি মারার কোনো সুযোগ নেই।</p>