<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৩৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি খবর বেশ সাড়া ফেলে। লোকমুখে প্রচারিত হয় তিজলিক বাহিনী (সরকারি বাহিনী) স্থানীয় একটি জেটি নির্মাণকাজের জন্য মানুষের মাথা সংগ্রহ করছে। এই গুজবে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী সময়ে দেখা গেল বিষয়টি নিছকই একটি গুজব। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুজবে কান দেবেন না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাক্যটি বহুল প্রচলিত হলেও আমরা হরহামেশাই টুক করে গুজবে কান দিয়ে ফেলি। লোকমুখে প্রচারিত কোনো ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে বিশ্বাস ও প্রচার করাই গুজব। গুজবের এসব ঘটনা আংশিক সত্য বা মিথ্যা হতে পারে, তবে মানুষের মধ্যে তা অনেক বেশি মাত্রায় প্রভাবিত হয়। গুজবের সূচনা মানব সমাজের শুরু থেকেই। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিত্রকর্ম, কার্টুন পোস্টার, ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবার স্পেসে বিভিন্নভাবে গুজব ছড়ানো হয়। বর্তমানে সাধারণত ছবি এডিট করে গুজব ছড়ানোর মাত্রা বেড়েছে অধিক হারে। অনেক ক্ষেত্রে আসল ছবিতে ভিন্ন স্থান ও সময় যু্ক্ত করে ছবির প্রেক্ষাপট বদলে ফেলা হয়। সাধারণ জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন বিষয়বস্তু নিয়ে মিথ্যা ও চটকদার ভিডিও তৈরি করে গুজব ছড়ানো এখন খুব সাধারণ বিষয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে একজনের চেহারায় তার আর্টিফিশিয়াল ভয়েস যু্ক্ত করে ডিপ ফেইক প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভুয়া ভিডিও তৈরি করে গুজব ছড়ানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে অনলাইনে থাকা গুজব শনাক্তের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। ছবিতে কারসাজি যাচাই করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করা। বাইডু, ইয়ানডেকস ও ফটোফরেনসিকস ওয়েবসাইটের এরোর লেভেল অ্যানালিসিস প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও ছবির এডিট করা অংশটি বেশির ভাগ সময় শনাক্ত করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>