<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে বাসযোগ্যতার বিচারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তলানিতে। উল্টোভাবে বলা যায়, সারা পৃৃথিবীর নিকৃষ্টতম শহরগুলোর একটি ঢাকা। এর জন্য দায়ী কারণগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার বিখ্যাত যানজট এবং সর্বাধিক বায়ুদূষণ। আর এই দুটি কারণেই বড় অবদান রাখছে অতি পুরনো যানবাহন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক গবেষণায়ও ঢাকার যানজটের পরিধি, মানুষের জীবনযাত্রায় তার প্রভাব, যানজটে প্রতিদিন কত কর্মঘণ্টা ক্ষতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনই আরো অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু যানজট না কমে দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চলার গড় গতি নেমে এসেছে ৪.৮ কিলোমিটারে, যা মানুষের হাঁটার গড় গতির কাছাকাছি। আর বায়ুদূষণজনিত কারণে দেশে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তার পরও অতি পুরনো যানবাহনের চলাচল বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেই। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকাসহ সারা দেশে ২০ ও ২৫ বছরের পুরনো ৭৩ হাজার ৫৭টি পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনের গাড়ি চলাচল করছে। সরকারের মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালার খসড়া অনুযায়ীও এসব গাড়ি সড়কে চলাচলের অনুপযোগী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিক পুরনো মোটরযান রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া নানা দিক থেকেই ক্ষতিকর। এগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী নয়। হাইড্রোকার্বন নির্গত হয় অনেক বেশি। এসব যানবাহনের কালো ধোঁয়ার পরিবেশদূষণের মাত্রা অনেক বেশি। গতি কম। রাস্তায় প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। এসব পুরনো গাড়ি তাই যানজটের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি এসব গাড়ির দুর্ঘটনায় পড়ার হারও অনেক বেশি। তার পরও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মেয়াদোত্তীর্ণ এসব গাড়িকে ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী, বাস ও মিনিবাসের চলাচলের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০ বছর এবং পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ির আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয় ২৫ বছর। কিন্তু সরকারের সে নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি। আবার একটি গাড়ির ইকোনমিক লাইফ বা আয়ুষ্কাল কত দিন হবে, সেটিও বিআরটিএ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। ফলে রাস্তায় ২৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ির চলাচলও বন্ধ হচ্ছে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোটরযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত একটি গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করে ১০ থেকে ১৫ বছর। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা সেটিকে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত করতে পারি। তার চেয়ে বেশি সময় কোনো গণপরিবহন রাস্তায় চলতে দেওয়া অনুচিত। আমরা আশা করি, সরকার শিগগিরই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।</span></span></span></span></p>