<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে কোনো আলোচনা করার বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই দেশটির সেনাবাহিনীর। দেশটির জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এই কথা জানিয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে কারাকক্ষ থেকেই পাকিস্তানের সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হতে ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন ইমরান খান। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। ইমরান খানের সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে আইনি দলের মাধ্যমে তাঁর কাছে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। এর জবাবে ইমরান খান বলেন, গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। তবে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এর আগে ইমরান খানের সরকারের পতন ও তাঁকে কারাবন্দি করার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইমরান গার্ডিয়ানকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যেকোনো চুক্তি বা কোনো আলোচনার ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট নীতি মেনে হবে। তা হবে জনগণের স্বার্থে। এতে ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ থাকবে না বা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন করে এ ধরনের আপস করা হবে না। নীতির সঙ্গে আপস করার চেয়ে বাকি জীবন কারাগারে কাটাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সমর্থনেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের রাজনীতির কিংমেকারস হিসেবে দেখা হয়। একই সঙ্গে দেশটির গণতন্ত্রের পথে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপকে বড় বাধা হিসেবে দেখা হয়। ২০২২ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের সম্পর্কে চিড় ধরে। ফলে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এরপর সেনাবাহিনীর সমালোচনা শুরু করেন তিনি। তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও আনেন। এ ছাড়া তাঁকে কারাবন্দি রাখার জন্য তাদের অভিযুক্ত করেন। বর্তমানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, এসব মামলার পেছনে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক বিরোধীরা রয়েছে। বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা জোট সরকার গড়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান</span></span></p>