<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী বছর কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট  ভোলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল শনিবার ইউক্রেনীয় রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলেনস্কি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী বছর যুদ্ধের ইতি নিশ্চিত করতে আমাদের তরফ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। কূটনৈতিক উপায়ে আমাদের যুদ্ধ শেষ করতে হবে। আমি মনে করি, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়নি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন যে তিনি শিগগির এই যুদ্ধ শেষ করতে চান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলেনস্কি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রুশরা কী চায়, তা আমাদের বুঝতে হবে। ইউক্রেনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা এমন একটি দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন, যেটির অনেক রসদ আছে। তবে দেশটি নিজের জনগণকে মূল্য দেয় না এবং কত মানুষের মৃত্যু হলো তা পরোয়া করে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে, সেগুলো আত্মসমর্পণ করলে তিনি কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ক্রেমলিন বলেছে, গত শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে ফোনালাপে এই দাবির পুনরাবৃত্তি করেছেন। তবে পুতিনের এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে রুশ বাহিনীর। পোকরোভস্ক ও কুরাখেভের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে রুশরা। তবে গতকাল জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু এলাকায় তাদের অগ্রগতি ধীর হয়ে গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্প দায়িত্ব নিলে দ্রুত শেষ হবে ইউক্রেন যুদ্ধ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গত শুক্রবার ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম সাসপিলনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারণার চেয়েও আগে শেষ হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলেনস্কি বলেন, মার্কিন নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তিনি। সেখানে দুজনের গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প কোনো দাবি উত্থাপন করেছেন কি না, সে বিষয়ে বলেননি জেলেনস্কি। তবে তিনি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো কথা শুনিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা তাঁর অগ্রাধিকার। কারণ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এটা নিশ্চিত যে এখন যাঁরা (ট্রাম্প প্রশাসন) হোয়াইট হাউসের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের নীতি অনুযায়ী ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে। এটি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাঁদের নাগরিকদের প্রতিশ্রুতি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, রাশিয়ার বাহিনী এগিয়ে আসছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো তথ্য দিতে জেলেনস্কিকে চাপ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালে অভিশংসিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য সত্ত্বেও ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সেপ্টেম্বরে জেলেনস্কির সঙ্গে নিউইয়র্কে সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প বলেন, বৈঠক থেকে তিনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন এবং খুব শিগগির তিনি যুদ্ধের ইতি টানবেন। তবে কোন কৌশলে যুদ্ধ শেষ করা হবে, তা এখনো জানাননি ট্রাম্প।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিরোধী শিবির ডেমোক্রেটিক পার্টির অভিযোগ, পুতিনকে সহযোগিতা করছেন ট্রাম্প। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি হলো ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ, যা পুরো ইউরোপকে বিপদে ফেলবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, যুদ্ধের বিষয়ে ধারণার চেয়েও আরো সূক্ষ্ম অবস্থান ট্রাম্পের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুতিন-শোলজ ফোনালাপে ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের ফোনালাপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বার্লিন বলছে, ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন শোলজ এবং পুতিনকে সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন। এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা দেখাতে রাশিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে শোলজের বিরুদ্ধে তুষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। কিয়েভ বলেছেন, এই ফোনকলে শুধু পুতিনের বিচ্ছিন্নতা কমবে, আর কোনো লাভ হবে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে শোলজ বলেছেন, ক্রেমলিন প্রধানের সঙ্গে আলোচনার আগে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এ বিষয়ে পশ্চিমা মিত্রদেরও অবগত করেছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি</span></span></p>