<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় খোরাসানে একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা এই তথ্য দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাবাস কয়লাখনিতে মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের সময় খনিতে ৬৯ জন কর্মী কাজ করছিলেন। গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ খোরাসানের গভর্নর জাভেদ ঘেনাতজাদেহ জানান, বিস্ফোরণের সময় দুটি ব্লকে ৬৯ জন শ্রমিক ছিলেন। এর মধ্যে বি ব্লকে ৪৭ জন এবং সি ব্লকে ২২ জন শ্রমিক ছিলেন। বি ব্লকে ৪৭ জনের মধ্যে ৩০ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি ১৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সি ব্লকে পরে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাদেশিক সংকট ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ-আলী আখন্দি গতকাল জানান, শনিবার দিবাগত রাতে খনির দুটি ব্লকে মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। মিথেন এবং কার্বন মনোক্সাইড দ্রুত নির্গত হওয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে শ্রমিকরা মারা যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, ভূগর্ভস্থ অবস্থার কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা বেশ কঠিন হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার এবং তাঁদের পরিবারকে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে ইরানের একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে দুটি পৃথক খনি দুর্ঘটনায় ১১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় অন্তত ২০ জন শ্রমিক নিহত হন।  সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান</span></span></span></span></span></p>