<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন দেশটির কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার হামাসের সঙ্গে তেল আবিবের পরোক্ষ আলোচনা বন্ধ করার আহবান জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন-গভির। গত সপ্তাহে গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মির লাশ উদ্ধারের পর এই আহবান জানালেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt=" বন্ধের চাপ" height="237" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/03-09-2024/mk/kk-7-2024-09-05-01a.jpg" style="float:left" width="300" />বেন-গভির বলেন, যে দেশের ছয়জন জিম্মিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে, সেই হত্যাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়, বরং আলোচনার ইতি টানা উচিত। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং তাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়া উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেতানিয়াহুর জোট সরকারের অন্যতম সদস্য বেন-গভির বরাবরই যুদ্ধবিরতির আলোচনার বিরোধী। গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াই হামাসকে নির্মূলের একমাত্র উপায় বলে জোর দিয়ে আসছেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরোক্ষ আলোচনা চলছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো সফলতা মেলেনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন বলেছে, যুদ্ধের ইতি টানার জন্য একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় এসেছে, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, একটি চূড়ান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নিয়ে আসন্ন দিনগুলোতে চাপ দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় এসে গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও আলোচনায় কোনো ধরনের ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমনকি গাজা-মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি নন তিনি। তবে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ইসরায়েল সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিলার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের প্রস্তাবে ফিলাডেলফি করিডরসহ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ছিল। ইসরায়েল তাতে সম্মত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতির বিরোধী আমরা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজা-পশ্চিম তীরে হামলা : যুদ্ধবিরতি</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কার্যকর নিয়ে চাপ সত্ত্বেও গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে অষ্টম দিনের মতো পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানে অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা : হামাসের</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও আরো পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার কয়েকটি ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে সংগঠনটির নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পরিকল্পনা, সমর্থন ও সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে হামাসকে নিষিদ্ধের খসড়া আইনে স্বাক্ষর করেছে সুইজারল্যান্ড সরকার। এটি এখন সুইস পার্লামেন্টে পর্যালোচনা করা হবে। হামাস, এর উত্তরসূরি গোষ্ঠী এবং এর পক্ষে কাজ করা যেকোনো গোষ্ঠীকে এই আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা যাবে। সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা</span></span></span></span></span></p>